বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র না করার জন্য বিএনপি’র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

609

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পার্লামেন্টারি বোর্ড-ভাষণ
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র না করার জন্য বিএনপি’র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা তাঁদের তিনটি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার পরেও গতকালের ঘটনায় ধৈর্য প্রদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের জান-মাল ধ্বংস করা অত্যন্ত দুঃখজনক, বিশেষ করে যখন নির্বাচনের আগে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ চায় উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নির্বাচন এবং তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পছন্দমত সরকার নির্বাচন করতে চায়।
বিগত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদি উন্নয়নের যে ধারা আমরা শুরু করেছি তা অব্যাহত থাকবে এবং এর মধ্যদিয়েই দেশ আরো এগিয়ে যাবে। কারণ, সাধারণ মানুষ ভালো থাকলে তাদের (বিএনপি) দুঃখ হয়, তা না হলে তাদের নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাত করতে পারতো না। যে কারণে সে এখন জেলে রয়েছে।
কারো নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের অন্য নেতাদের মধ্যেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং বিদেশে অর্থ পাচার মামলারও আসামী রয়েছে।
বিএনপি’র দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাকে বাদ দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত, মামলার আসামীদের নিয়ে দল গড়েছে । অর্থাৎ খুনের মামলা, ডাকাতি এবং দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা তাদের নেতৃত্বে বহাল থাকতে পারবে এবং যেটা তারা প্রমাণও করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বড় বড় কথা বলে তারাই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। একদিক থেকে তারা ভালই করেছে কারণ আমি চাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আওয়ামী লীগের মননোয়ন প্রত্যাশীদের দলের মনোনয়নের জন্য ৪ হাজারের অধিক মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের উল্লেখ করে বলেন,‘এত বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশী থেকে ৩শ’ জনকে মনোনয়ন প্রদান করা সত্যিই খুব কঠিন কাজ। কিন্তু ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি তাঁদের জীবন-মান উন্নয়নে জনগণ নৌকায় ভোট প্রদান করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী- দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য এবং তাঁদের জীবন-মানের উন্নয়নের জন্য জনগণ নৌকায় তাঁদের ভোট প্রদান করবে এবং আমরা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/২০৫০/আরজি