মেহেরপুরে লেপ বানানোর ধুম

222

॥ দিলরুবা খাতুন ॥
মেহেরপুর, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : ধোয়ারমতো কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। ঘাসে ঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশিরের কনা। উত্তরের শীত হওয়া। এসবই বলছে এখন হেমন্তের শীত। ফসলের ডগার শিশির বিন্দু দিনের প্রথম আলোয় চিকচিক করে উঠছে। গত কয়েক দিনে বেড়েছে হিমেল ঠান্ডা পরশ। কিছুদিন ধরে দিনের বেলা গরম ও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে ভোরবেলায় কাঁথা গাঁয়ে নিতে হচ্ছে। হিমহিম ঠান্ডা আমেজ জড়িয়ে পড়ছে সবখানে। গ্রামে হেমন্ত মাঠে মাঠে শিশির ভেজা সোনালী ধানের বাহার।
কোথাও কোথাও কাঁচা ধানের ভারে নুইয়ে পড়ছে গাছ। যা কৃষকের চোখে মুখে চিকচিকে হাসি এনে দিয়েছে। বর্ষার দীর্ঘ অনিশ্চিত কর্মহীন রোজগারহীন সময়ের ধকল পেরিয়ে আনন্দময় দিনের আগমণ। কেউ কেউ উৎসবের মতো করে শুরু করেছে ধানকাটা আয়োজন। এদিকে শীতের আগমনের সঙ্গে মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকেছেন। এতিকে শীত জেকে বসার আগেই মেহেরপুরে লেপতোষক তৈরির ধুম লেগে গেছে। ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছে লেপতোষকের দোকানের দিকে। কারিগররা জানান, রেডিমেট লেপতোষকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমত লেপতোষক তৈরি করতে দিচ্ছেন বেশি।
সরেজমিনে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, লেপতোষকের কারিগরদের শীত আসার আগেই শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা। লেপতোষকের দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। বছরের অন্যান্য সময় মন্দাদশা থাকলেও শীতের মৌসুমে বেশ চাঙ্গা এ ব্যবসা।
শহরের বড়বাজারে লেপ তোষকের ব্যবসায়ী বাবুল জানান- শীতের আগমনে লেপতোষতের তৈরির কারিগররা এখন ব্যাপক কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে। লেপতোষকের দোকানে বাড়ছে বেচাকেনা। এসব দোকানের কর্মচারিদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুসরত নেই। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরির প্রতিষ্ঠানের কারিগরদের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে।
সে কারণে কারিগররা এখন ব্যস্ত। লেপতোষক তৈরির দোকানে ভিড় করা ক্রেতারা জানান, কাপড় তুলাসহ মজুরি বেড়ে গেছে। শীত বেড়ে গেলে এগুলোর দাম বেড়ে যাবে। যে কারণে আগেই লেপতোষক তৈরির করাচ্ছেন। আক্তার হোসেন নামের একক্রেতা বলেন, দিনে গরম হলেও রাতে শীতের হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশাই বলে দিচ্ছে শীত এসেছে। তাই তো লেপতোষকের দোকানে এসেছি। তবে দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে। তুলার দাম ও পরিমানের ওপর নির্ভর করে লেপতোষকের তৈরির খরচ। এবার তুলার দাম বাড়েনি। তবে কাপড়ের দাম বেড়ে যাচ্ছে।