বাসস প্রধানমন্ত্রী-৭ : খেলাধুলায় আরো অনুশীলনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

599

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৭
শেখ হাসিনা-ফুটবল
খেলাধুলায় আরো অনুশীলনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলায় আরো অনুশীলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো ভুল পথ থেকে তরুণদের বিরত রাখতে সহায়তা করে।
আজ সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, খেলাধুলার অনুশীলন স্বাস্থ্য ও মনমানসিকতাকে সতেজ এবং যুবকদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো ভুল পথ থেকে বিরত রাখে।
সম্প্রতি নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান।
দেশে খেলাধুলার উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশব্যাপী সারা বছর খেলাধুলার চর্চাকে অব্যাহত রাখতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বেশ কয়েকটি উপজেলায় ইতোমধ্যেই এ ধরনের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য উপজেলায়ও এ ধরনের স্টেডিয়াম নির্মিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুটবলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর দাদা ও পিতা ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সবাই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিল। আমার নাতিও ফুটবল খেলে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভাই শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা। এ ক্রীড়া চক্র বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের অগ্রপথিক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। দেশের সর্বত্র এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
শেখ হাসিনা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে বিজয়কে একটি দুর্লভ সম্মান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলায় শিশুদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার কারণে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল দল এ সম্মান অর্জন করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে আরো নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তঃস্কুল ও আন্তঃজেলা ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি খেলোয়াড়দের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যাতে তারা নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহ উদ্দিনও বক্তৃতা করেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার এবং উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২৩ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৫ বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রত্যেক কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করেন।
কাজী সালাহ উদ্দিন ও অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের স্কিপার মেহেদি হাসান প্রধানমন্ত্রীকে ২টি ফুটবল উপহার দেন।
বাসস/এসএইচ/এবিএইচ/২২৫৫/বেউ/-এবিএইচ