আসন্ন নির্বাচন হবে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক : কাদের

692

ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী নির্বাচন সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আজ রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোট ও ২৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপ থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, আসন্ন নির্বাচন হবে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক এবং এটি দেশের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে না, এ ধরনের সন্দেহ আমি প্রকাশ করছি না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার ওপর পানি ঢেলে দিয়েছেন এবং নির্বাচনে উত্তাপ দিয়েছেন। এখন দেশব্যাপী নির্বাচনমুখী বাতাস বইছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সপ্তাহব্যাপী সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে প্রায় ১০০টি রাজনৈতিক দল যোগ দিয়েছে। এসব দলের অধিকাংশই সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার পক্ষে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কাক্সিক্ষত লক্ষের দিকে এগিয়ে যাবে।

সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একে গোটা এশিয়ায় একটি বড় ও ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ‘সংলাপ আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আজ রাতে ২৪ দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোন আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা থাকলেও আগামী নির্বাচন সংক্রান্ত সংলাপ আজ শেষ হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগামীকালের সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার আগ্রহ অনুযায়ী এটি অন্য সময় অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করবে। তাই প্রধানমন্ত্রী অন্য আরেক দিন সংবাদ সম্মেলন করতে চান।
এরআগে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, তারা বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থার অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। কারণ অনির্বাচিত সরকারের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা থাকেনা।’