খুলনা সিটিতে আগামীকাল ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

675

ঢাকা, ১৪ মে, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল খুলনা সিটি কর্পোরেশনে (কেসিসি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার দিবাগত রাত ১২টায় নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাসসকে বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নগরীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে গেছে।
রোববার থেকে মাঠে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়েছে। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, এপিবিএন, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯শ’ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি থাকবে র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে। যার প্রতিটি টিমে ৮জন সদস্য থাকবে। এছাড়া ৪টি স্টাইকিং ফোর্স টিম মাঠে থাকবে। এ টিমে ১০ জন করে থাকবে।
নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষ্যে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা কেন্দ্রভিত্তিক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম থাকবে। নির্বাচনে ৮টি মোটর সাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং চারটি সংরক্ষিত আসনে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম থাকবে।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, ১০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএম থাকবে।