জামায়াতকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির

690

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
আজ সকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম. নূরুল হুদার কাছে পাঁচ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি জমা দেয়া হয় বলে সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদেরকে জানান।
এর আগে সিইসি নূরুল হুদার সাথে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি নিজামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, কাজী মুকুল ও ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী। বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির স্বাক্ষরিত স্মারক লিপিতে আরও বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৯২টি নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভোটের সংখ্যা শতকরা ১২ ভাগ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত। যার বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ সকল নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, জামায়াতের অনুসারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঘোষণা করতে হবে যে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই, নির্বাচনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানবিরোধী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ৭১’র গণহত্যাকারীদের সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যারা সর্বোচ্চ আদালতের রায় অগ্রাহ্য করছে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা করা।
শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠন যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর কাজ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেয়ার সময় তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, স্বাধীনতা বিরোধী নয়, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নির্বাচনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নয় বা সম্পৃক্ত নয় এমন কিছু রাখতে হবে।
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত। তাই জামায়াতের কোনো সদস্য কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।