বাসস রাষ্ট্রপতি-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

368

বাসস রাষ্ট্রপতি-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
বিনিয়োগ-সম্মেলন
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এলডিসি থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণের জন্য একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত আবিষ্কারভিত্তিক ব্যবস্থা রেখে আমাদের সহায়তা করার প্রয়োজন। আমাদের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা এবং টিআরআইপি চুক্তির ৬৬.২ ও ৬৭ ধারার ধারার আলোকে বেসরকারি এফডিআই থেকে প্রযুক্তি সহায়তা বৃদ্ধি আবশ্যক।’
উন্মুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও অনুধাবনযোগ্য কাঠামো গঠনের ওপর জোর দেন। তিনি আরো বলেন, ‘এসব ও অনুরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ এলডিসিতে আরো বেশি এফডিআই প্রবাহ নিশ্চিত করবে, যা ২০৩১ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যাপক সহায়তা দেবে।’
প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ও দীর্ঘদিন এখানে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, এ বিষয়টি এদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক ক্ষতি করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ সম্প্রীতি ও অগ্রগতি বজায় রাখতে এখনো নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ করে তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং সটিক বিনিয়োগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা ২০২১ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে মোঙ্গলিয়া ও মন্টিনিগ্রো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আঙ্কটার্ডের মহাসচিব মুখিসা কিতুই, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম (ডব্লিউআইএফ) হচ্ছে একটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিবার্ষিক বহুমুখী অংশীজন সমাবেশ, যেখানে বিশ্বের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহের বিষয়ে আলোচনা ও কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময়ের সুযোগ থাকবে। এখানে আন্তর্জাতিকীকরণ ও শিল্পায়নের এই নতুন যুগে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জর বিষয়ও প্রধান্য পাবে।
এর লক্ষ্য হচ্ছে- ‘ইনভেস্টমেন্ট ফর ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে বিতর্ক ও আলোচনা করার জন্য একটি প্লাটফর্ম সৃষ্টি, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি, যা টেকসই ও সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
বাসস/এএসজি/-অনু-জেহক/১৯৪৮/মমআ/-কেএমকে