বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতির জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ

917

ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম-২০১৮ এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য সুইজারল্যান্ডে পাঁচদিনের এক সরকারি সফরে রোববার দিবাগত মধ্যরাতের পর জেনেভার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কূটনৈতিক কোরের ডিন, ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মূখ্য সচিব এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
রাষ্ট্রপতির উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বাসস’কে জানান, রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আজ রাত ২টা ৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল(রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
আজ ২২ অক্টোবর থেকে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপের জাতিসংঘ সদরদপ্তর জেনেভার প্যালেইস দ্যাস নেশন্সস-এ এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ।’
তিনি জানান, জেনেভা যাওয়ার পথে রাষ্ট্রপতি স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় সাড়ে ১০ ঘন্টা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করবেন।
পরে অন্য একটি বিমানে করে রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) জেনেভার কোয়েট্রিন বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান এবং জেনেভার আঞ্চলিক সরকার ও জেনেভাস্থ জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রতিনিধি বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতিকে বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে গ্রান্ড হোটেল কেম্পিনক্সিতে নিয়ে যাওয়া হবে, সুইজারল্যান্ড সফরকালে এখানেই তিনি অবস্থান করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ভবিষ্যত লক্ষ্যের বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য এই বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণ, মন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীগণ যোগ দেবেন। ফোরামে আন্তর্জাতিকীকরণ ও শিল্পায়নের এই নতুন যুগে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরা হবে।
সূত্র আরো জানায়, এই দ্বিবার্ষিক বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরামে ১৬০টি দেশের ৪ সহ¯্র্রাধিক বিনিয়োগ অংশীজন অংশ নেবেন।
সূত্র আরো জানায়, এবারে ফোরামে অর্ধশতাধিক অনুষ্ঠান থাকছে, যার মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন, দ্য গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট গেম চেঞ্জার্স সামিট, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, সম্মেলন, বেসরকারি খাত বিষয়ক অধিবেশন, উচ্চ পর্যায়ের অংশীজন বৈঠক, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, পুরস্কার অনুষ্ঠান ও ইনভেস্টমেন্ট ভিলেজ।
মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আগামী ২৬ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।