প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল এমএনপি সেবা উদ্বোধন করবেন

505

ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র আজ বাসস’কে জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমএনপি সেবা উদ্বোধন করবেন।’
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিকভাবে বহুল প্রতীক্ষিত এমএনপি সেবা চালু করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ এমএনপি সেবা দেয়া ৭২তম দেশ হয়েছে।
এই সেবা চালু হওয়ার ফলে গ্রাহকরা তার নাম্বার অপরিবর্তিত রেখেই যেকোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার স্বাধীনতা পাবেন। যা এর আগে নাম্বার পরিবর্তনের ঝামেলার জন্য সম্ভব ছিল না।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১ অক্টোবর তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমএনপি সেবা দেয়ার ঘোষণা দেয়।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহুরুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আশা করি, এমএনপি সেবা চালু হওয়ার ফলে বাজারে আগের চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হবে এবং গ্রাহকরা উন্নত সেবা পাবেন।’
বিটিআরসি গত বছরের নভেম্বর মাসে লাইসেন্স ইস্যু করার মাধ্যমে ইনফোজিলিয়ন বিডি লিমিটেড ও টেলিটেক ডিওও, স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডি’কে এমএনপি সেবা দেয়ার কাজে নিযুক্ত করে।
প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স পাওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে এ সেবা চালু করতে বলা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন অপারেটরদের অসহযোগিতার কারণে তারা এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর বলেন, বিটিআরসি’র নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাক্সিক্ষত অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার থেকে নতুন সিম সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সময় পর নতুন সিম কার্ডটি চালু হবে।’
মাবরুর বলেন, তারা প্রি-পেইড গ্রাহকদের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পোর্টিং সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ইনফোজিলিয়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে. ক. (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, এমএনপি সেবার আওতায় কোন গ্রাহক নতুন অপারেটরে সুইচ করতে চাইলে নতুন সিম সংগ্রহ করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ও ছবি ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে হবে।
জুলফিকার বলেন, কোন গ্রাহক এর পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করতে চাইলে তাকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু রয়েছে। পাকিস্তানে ২০০৭ সালে ও ভারতে ২০১১ সালে এ সেবা চালু করা হয়।