বাসস দেশ-১৯ : মহেশখালীতে ৪৩ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

318

বাসস দেশ-১৯
জলদস্যু-আত্মসমর্পণ
মহেশখালীতে ৪৩ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ
কক্সবাজার, ২০ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পন করেছে ৬টি বাহিনীর ৪৩ জন জলদস্যু। শনিবার সকালে এসব অস্ত্র ও গোলা বারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এই দস্যুরা।
র‌্যাবের উদ্যোগে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু পূর্বের পেশায় ফিরে গেলে পরিনতি হবে কঠোর।
র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ জানান, ৬টি দস্যু বাহিনীর মধ্যে আন্জু বাহিনীর ১০ সদস্য আতœসমর্পণ করেছেন। তারা ২৪টি অস্ত্র ও ৩৪৫ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়েছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের রমিজ বাহিনীর ২ সদস্য আতœসমর্পণ করে ৮টি অস্ত্র ও ১২০ রাউন্ড গোলাবারুদ, মহেশখালীর নুরুল আলম প্রকাশ কালা বদা বাহিনীর ৬ সদস্য ২৩টি অস্ত্র ও ৩৩৩ রাউন্ড গোলাবারুদ, জালাল বাহিনীর ১৫ সদস্য ২৯টি অস্ত্র ৬৭৯৮ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন।
এছাড়া মহেশখালীর আয়ুব বাহিনীর ৯ সদস্য ৯টি অস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গোলাবারুদ, আলাউদ্দীন বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দীন ১টি অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে।
জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এসএমজি একটি, বৃটেনে তৈরি রিভলবার ১টি, দেশীয় পিস্তল ২টি, দেশীয় বন্দুক ৫২টি, দোনলা বন্দুক ২টি, ওয়ান শুটার গান ১৯টি, থ্রী কোয়াটার গান ১৫টি এবং ২২ বোর রাইফেল রয়েছে ২টি।
তিনি জানান, আত্মসমর্পণকারী দস্যু বাহিনীর সদস্যরা সোনাদিয়ার পশ্চিমে, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া চ্যানেলে নৌ ডাকাতি ও দস্যুতায় জড়িত ছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা বিপথে চলে গেছেন কিংবা পথ হারিয়েছেন কিংবা যারা জলদস্যুতায় গিয়ে অনুতপ্ত হয়েছেন, তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে যারা ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে তাদের সুযোগ করে দেয়া হবে। আত্মসমর্পণকারিদের পুনর্বাসনে অনুদানের চেক বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ বলেন, মহেশখালী তথা কক্সবাজার জেলায় কোন দস্যুতা চলবে না। জলদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর এখনও যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদেরকে সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৮৪০/কেএমকে