বাসস ক্রীড়া-১৪ : সংযুক্ত আরব আমিরাত আর পাকিস্তানের ‘হোম’ নয়

327

বাসস ক্রীড়া-১৪
ইউএই-হোম
সংযুক্ত আরব আমিরাত আর পাকিস্তানের ‘হোম’ নয়
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : ২০০৯ সালে শ্রীলংকা বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বনে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের হোম ভেন্যু। এখানকার স্পিন সহায়ক পিচে দলটি অনেক সাফল্য পেয়েছে, বড় বড় দলগুলোকে হারিয়েছে, সিরিজের পর সিরিজ জিতেছে, কি না করেছে। তবে সব কিছুরই সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেরিযার বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র এবং সফরকারী শ্রীলংকার কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকেই বুঝা যাচ্ছে দুবাই, আবু ধাবি এবং শারজাহতে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের একক প্রাধান্য কমে আসছে।
টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই স্বাগতিক দলগুলো নিজেদের মত করে পিচ তৈরি করে থাকে সুবিধা পাওয়ার জন্য, যা থেকে সফরকারী দলের ওপড় ছড়ি ঘোরানো হয়ে থাকে। যেটা লংগার ভার্সনের জন্য একটা বিপদ সংকেত।
যে কারণে স্বাগতিক ও সফরকারী দুই দলের মধ্যে সঠিক প্রতিদ্বন্দিতার জন্য ঐতিহাসিক টস প্রথাও এখন অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে। অর্থাৎ অনেকেই টস প্রথা তুলে দেয়ার কথা বলছেন। তবে খুব শিগগিরই এ বিতর্কের সমাধান হওয়ার লক্ষণ নেই।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের পরাজয় থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে- এখানে তারা এখন আর সুবিধা পাচ্ছে না।
মিসবাহ-উল হক অধিনায়ক থাকাকালে টেস্ট ক্রিকেটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমে ব্যাটিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে তিন শতাধিক রান করতে সক্ষম হয়েছে এবং এরপর প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট শিকার করতে পেরেছে। তবে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে এটা কার্যকর হচ্ছে না। এখানে সুবিধা আদায় করতে পাকিস্তানকে এখন নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।
চলমান সিরিজে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ছিনিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার। তবে ম্যাচের প্রথম চারদিন অবশ্য অসিদেরও বেগ পেতে হয়েছে।
সুতরাং দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের সুনাম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার একটা সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তান। সরফরাজ কি এ সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন?
বাসস/১৮২০/স্বব