‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি প্রোগ্রাম’ বিষয়ে বিসিসি’র সাথে মাইক্রোসফটের চুক্তি

738

ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং সাইবার হুমকি শনাক্ত করতে ‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএসপি)’ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং মাইক্রোসফট-এর মধ্যে আজ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে বিসিসি জাতীয় ডাটা সেন্টারের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ এবং মাইক্রোসফট ইউএস-এর সিনিয়র পরিচালক ডিসিইউ মার্ক ইস্টবার্গ চুক্তিতে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এসময় মাইক্রোসফট এর সাউথ এশিয়া নিউমার্কেট প্রেসিডেন্ট সুক হুন চিয়াহ, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির অধীনে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট (ডিসিইউ) ‘বাংলাদেশকে সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স’-এর ‘কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিমকে (সিআইআরটি)’ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে। এছাড়া এ চুক্তির ফলে বিসিসি নিরাপত্তার উদ্বেগগুলো চিহ্নিতকরণে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।
পর্যায়ক্রমে এটা জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ ও সংস্থা সাইবার হুমকি থেকে মুক্ত থাকবে। এ কাউন্সিল বাংলাদেশে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিসি’র লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারের ই-গভর্নমেন্ট নেটওয়ার্ক ও এ সম্পর্কিত অবকাঠামোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং সাইবার হুমকি শনাক্ত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, মাইক্রোসফটের সাথে এই চুক্তি জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে শিক্ষা, সচেতনা এবং তথ্যাদি পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য, রাষ্ট্রীয় তথ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব বিষয়ে নিরাপত্তা বিধান সত্যিকার অর্থে চ্যালেঞ্জিং।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করছে। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি। এর ভাল দিক হচ্ছে একটি ডিজিটাল এজেন্সি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি হবে। সমগ্র বিশ্বকে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।