রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করবে ওআইসি : সহকারী মহাসচিব

730

কক্সবাজার, ৪ মে, ২০১৮ (বাসস) : ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করবে।
ওআইসি’র প্রতিনিধি আজ দল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়াস্থ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব হাশমী ইউছুফ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
হাশমী ইউছুফ বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন এবং গণহত্যা হয়েছে তা অমানবিক। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, শুরু থেকেই ওআইসি বাংলাদেশের এ উদ্যোগের পাশে রয়েছে।
ওআইসি’র প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন,‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ওআইসি পাররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আসন্ন সম্মেলনেও রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আসন্ন বর্ষায় পাহাড় ধ্বসসহ যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রোহিঙ্গারা যাতে রক্ষা পায় সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।’
এসময় প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও ওআইসি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বালুছি বলেন,রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের তৈরী। মিয়ানমারকেই এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গারা নিরাপদে যেন স্বদেশে বাস করতে পারেন তার জন্য পরিবেশ তৈরীর দায়িত্বও মিয়ানমার সরকারের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে রিজেন্ট এয়ারের একটি বিমানে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তারা কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে যান। সেখানে সরকারি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিং করেন। ওই সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও প্রতিনিধি দলটিকে রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিতে আসা ওআইসিভূক্ত বিভিন্ন দেশের ৮ জন মন্ত্রী, ৩ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৮ জন পররাষ্ট্র সচিবসহ ৬৮ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল কক্সবাজার থেকে সকাল ১০ টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
প্রতিনিধি দলটি সকাল ১১টায় উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে এবং ক্যাম্পে আশ্রিত মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ্য করেন।
এসময় নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথা বলেন। কুতুপালং কাম্পে রোহিঙ্গা নারীদের একটি টিম তাঁদের উপর নিপীড়নের মর্মস্পর্শী ঘটনার বর্ণনা দেন প্রতিনিধি দলের কাছে। বিকেল ৪ টায় প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার থেকে পুনবায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।