বাসস ক্রীড়া-১০ : ভাল খেলেও ফিলিস্তিনের কাছে হার মানল বাংলাদেশ

344

বাসস ক্রীড়া-১০
ফুটবল-বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন
ভাল খেলেও ফিলিস্তিনের কাছে হার মানল বাংলাদেশ
কক্সবাজার, ১০ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : ভাল খেলেও ফিলিস্তিনের কাছে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আসরের শীর্ষ র‌্যাংকধারী ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। এই পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল স্বাগতিকদের। ফলে আগামী ১২ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলবে তাকিস্তান ও ফিলিস্তিন।
ম্যাচের ৮ম মিনিটেই গোল হজম করে ফেলে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত আক্রমণের সামনে অসহায় ছিলো লাল-সবুজদের রক্ষণভাগ। ডান প্রান্ত দিয়ে মুসাবের ক্রসে মোহাম্মেদ বালাহর দারুণ এক হেডে বল আশ্রয় নেয় জালে (১-০)। গোলরক্ষক আশরাফুল রানা চেষ্টা করেও পারেননি গোল প্রতিহত করতে।
দুই মিনিটের ব্যবধানেই আবারো স্বাগতিকদের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ফুটবলাররা। তবে ভাগ্যগুনে বেঁচে যায় জেমি ডে’র শিষ্যরা। এবার জনাথন জরিল্লার কর্ণারে হেড নিয়েছিলেন আল বাহদারি। তার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে ব্যবধানটা দ্বিগুন হয়ে যেতো।
১৩তম মিনিটে মাহবুবর রহমান সুফিলের কাটব্যাকের বলে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মাসুক মিয়া জনি জোড়ালো শট নিলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক রামি হামাদার চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। ২১তম মিনিটে আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের। বক্সের ভেতরে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটালেও গোলমুখে শট নিতে পারেননি সুফিল।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের ক্রস বক্সে পড়লেও নবীব নেওয়াজ জীবন বলে হেড নিতে ব্যর্থ হন। গোলরক্ষক রামি হামাদ ঠান্ডা বল গ্রীবে নিয়ে নেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটেও হতাশ করেন জীবন। সুফিলের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল আদায় করতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড। তার নেয়া শটটি ছিল দিকভ্রষ্ট।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফিলিস্তিনির খালেদ সালেমের একটি আক্রমণ একাই রুখে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। বক্সের ভেতর থেকে তার নেয়া জোড়ালো শটটি ফিষ্ট করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ৮৮তম মিনিটে বাতরান ইসলামে আড়াআড়ি শটে রানা পরাস্ত হলেও বল সাইডবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।
অতিরিক্ত সময়ে দাবাগের আরো একটি আড়াআড়ি শট সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সামি মারাবাহ। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে ইয়াজানের লং বলে দাবাগের হেডে বল পেয়ে যান এ ফরোয়ার্ড। তার সামনে একজন ডিফেন্ডারও ছিলেন না। সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি (২-০)।
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৭১৫/স্বব