কৌশলী ফুটবল দিয়ে ফিলিস্তিনের মোকাবেলা করতে চায় বাংলাদেশ

697

কক্সবাজার, ৮ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এবার পর্যটন নগরীতে বাংলাদেশ দলের নতুন লক্ষ্য ফাইনাল। তবে ওই লক্ষ্য পূরণে স্বাগতিক দলের সামনে বড় বাঁধা আসরের শীর্ষ র‌্যাংকধারী ফিলিস্তিন। যাদের হারিয়ে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখাটা স্বাগতিক দলের জন্য রীতিমত চ্যালেঞ্জ।
কক্সবাজারস্থ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বুধবার দুপুর আড়াইটায় র‌্যাংকিংয়ের ১০০ নম্বরে থাকা ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা। এ ম্যাচটিকে সামনে রেখে আজ ম্যাচ ভেন্যুতে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন মামুনুল, ওয়ালী ফয়সাল, ইব্রাহিমরা। দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এক ঘন্টা কড়া রৌদ্রে ঘাম ঝড়িয়েছে টিম বাংলাদেশ। অনুশীলনে দলের সঙ্গে ছিলেন না হেড কোচ জেমি ডে। দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা অনুভব করায় স্থানীয় হাসপাতালে শারীরিক চেকআপ করানো হয়েছে তাকে। অসুস্থতা গুরুতর না হলেও চিকিৎসকরা তার ইসিজি করেছেন। হেড কোচ না আসায় সহকারী কোচের অধীনে অনুশীলন করেছে দল।
রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের উপর আলাদা নজর দেয়া হয়েছে এই অনুশীলন সেশনে। গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে দেখা গেছে বেশ কসরত করতে। এ দু’টি বিভাগেই জোর দেয়া হয়েছে অনুশীলনে। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষণভাগ আগলে রাখাটাকেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের দীর্ঘ দেহী ফরোয়ার্ডদের আক্রমণগুলো নসাৎ করে দিতে চান তপু বর্মন, টুটুল হোসেন বাদশা, সৌ¤্রনি রাখাইনরা।
চলতি এ আসরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দল আক্রমণভাগের দু’জন করে ফটুবলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। বুধবারও এর ব্যতয় ঘটবে না। আজ অনুশীলন চলাকালে এমনটাই জানিয়েছেন স্বাগতিক দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে আমাদের কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। আজ অনুশীলনে রক্ষণের উপরই বেশী জোর দেয়া হয়েছে। তবে কৌশল ঠিক হবে ম্যাচের দিন, সেটা আগামিকাল অনুশীলন শেষে হেড কোচ পুরো বিষয়টা জানাবেন ফুটবলারদের।’
ফরমেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোচের বিষয়। কোন ফরমেশনে দল খেলবে সেটা আগামীকালই হয়তো অনুশীলন শেষে জানতে পারবে সবাই। আর ফিলিস্তিন আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী একটা দল। কিন্তু ফুটবলটা ৯০ মিনিটের খেলা। বুধবার দুপুরে যারা গোল পাবে তারাই জিতবে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিপক্ষ দলকে থামিয়ে রাখা এবং গোল আদায় করে নেয়া।’ বর্তমান জাতীয় দলে রয়েছেন কক্সবাজারের চার ফুটবলার। এরা হলেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ, ইব্রাহীম, ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকু। হোম ভেন্যুতে খেলায় আলাদা কোন চাপ থাকবে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে সবুজ বলেন, ‘এটি আমার ঘরের মাঠ। এখানে চাপের কোন বিষয় নয়। বরং এটা আমার জন্য আরো ভালো খেলার প্রেরণা। কারন নিজের পরিবারের সবাই আসবে মাঠে। আমার লক্ষ্য থাকবে গোল করা। কিন্তু দল যদি জয় পায় আর আমি গোল নাও করতে পারি, তবুও কোন আফসোস থাকবে না।’
দলের আরেক ফরোয়ার্ড লোকাল বয় ইব্রাহীম জানান, ‘আমি নিজের মাঠে খেলতে উদগ্রীব হয়ে আছি। যদি একাদশে সুযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই গোলের চেষ্টা থাকবে। আমার লক্ষ্য জয় নিয়ে ঢাকায় ফেরা।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের কোচ আইলাদ আলী নুরুদ্দিনী স্বাগতিকদের সমীহ করে বলেন, ‘তারা বেশ শক্তিশালী। স্ট্রেংথও অনেক ভালো। এখানকার পরিস্থিতি অনুযায়ী ম্যাচের দিন আমি আমার দল সাজাবো এবং জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। সেভাবেই আমরা প্রস্তুত হয়ে এসেছি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘মাঠে নামার পর বাংলাদেশের খেলা দেখে আমাদের রন কৌশল সাজাবো।’