জুনের আগেই নগরীর রাস্তাঘাট চলাচলের উপযুক্ত করা হবে

699

ঢাকা, ৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : আগামী জুনের আগেই নগরীর ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
তবে বিগত বর্ষায় নগরীর রাস্তাঘাট যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পুরোপুরি মেরামত করতে একটু সময় লাগবে, এগুলো জুনের আগেই চলাচলের উপযুক্ত করা হবে বলে বাসসকে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার সড়ক, সাড়ে ৯শ’ কিলোমিটার ড্রেন ও প্রায় ২১৭ কিলোমিটার ফুটপাত রয়েছে। বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ২০১৫ সালের ৬ মে দায়িত্ব গ্রহণের সময় সিটির বেশিরভাগ রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাতই ভাঙাচোরা ছিল। মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ ও মেরামতের উদ্যোগ নেন। এরমধ্যে গত বছরের দীর্ঘমেয়াদী বর্ষায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিটি কর্পোরেশনের জরিপ অনুযায়ী ওই বর্ষায় ২২২ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার সড়ক, ২২৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ড্রেন ও ৮০ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভাঙাচোরা রাস্তার ওপর একটা জরিপ করে সেগুলো নির্মাণের জন্য একটি ডিপিপি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের পাঠিয়েছে। শিগগিরই এই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা করছি। আর তাহলে এ বছরের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত সকল রাস্তাঘাট সংস্কার করা যাবে। এর আগে রাস্তাগুলো চলাচলের উপযুক্ত করে রাখা হচ্ছে।’
তিনি জানান, বর্তমান মেয়র দায়িত্বগ্রহণের পর বিগত ৩ বছরে নগরীর প্রায় সাড়ে ৪শ’ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা (৪৭৩ দশমিক ২৪ কিলোমিটার), ৪৬৯ দশমিক নর্দমা বা ড্রেন এবং ১১২ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার ফুটপাত মেরামত ও উন্নয়ন হয়েছে। অবশিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত জুনের আগেই মেরামত করে চলাচলের উপযুক্ত করা যাবে বলে তিনি জানান।
সিটি কর্পোরেশনের এই প্রকৌশলী বলেন, রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে ৯ দশমিক ২৭২ কিলোমিটার রাস্তা, ১১ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ড্রেন ও ১১ দশমিক ৪০২ কিলোমিটার ফুটপাত উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। এতে ওই এলাকায় এখন আর জলাবদ্ধতা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। কারণ সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব কোন খাল বড় কোন ড্রেন নেই। যেগুলো রয়েছে এগুলোর মালিকানা ওয়াসার। পানি অপসারণের দায়িত্বও ওয়াসার।
তিনি জানান, রাজধানীর ১১ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি অপসারণের জন্য টিটি পাড়ায় ওয়াসার ৩টি মেশিন রয়েছে। এই তিনটি মেশিন প্রতি ঘন্টায় ৫৪ হাজার কিউবিক পানি অপসারণ করতে পারে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। দ্রুত বৃষ্টির পানি অপসারণ করতে হলে ওয়াসাকে তাদের পাম্পিং সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে তিনি জানান।