বাসস দেশ-১৮ : উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

320

বাসস দেশ-১৮
ঢাবি-সমাবর্তন
উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : উৎসবমুখর পরিবেশে আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। কালো গাউন পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দিনভর ছবি তোলা, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, হৈ চৈ ও কোলাহলে মেতে থাকে সবাই।
রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো: আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ভাষণ দেন। জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ সমাবর্তনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ সময় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১জনকে পিএইচডি এবং ২৭জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ইতিহাসে সর্বাধিক ২১ হাজার ১শ’ ১১জন গ্র্যাজুয়েটকে অনুষ্ঠানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনগণ অনুষদভুক্ত বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ডিগ্রিপ্রাপ্ত গ্র্যাজুয়েটদের নাম উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান সমাবর্তন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত জমির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। বহির্বিশ্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বৃত্তি হিসেবে পুনরায় ‘বঙ্গবন্ধু ওভারসিস স্কলারশিপ’ চালু করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ও রাজনীতিমনস্ক গ্র্যাজুয়েট তৈরি ও ভবিষ্যৎ জাতীয় নেতৃত্বের বিকাশ ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সুষ্ঠুভাবে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন। উপাচার্য তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবর্তন বক্তা জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, উচ্চশিক্ষা লাভ করে একজন গ্র্যাজুয়েট যদি ভালো-মন্দ বিচার করতে না পারে এবং ভালোর পক্ষে দাঁড়িয়ে মন্দকে প্রতিরোধ করতে না পারে, তাহলে তার উচ্চশিক্ষা বৃথা। দেশের একটা অংশ এখনও সাক্ষরতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষের কল্যাণে গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করতে হবে।
বাসস/সবি/এমএন/১৯৩০/কেএমকে