আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আগামীকাল

855

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল ১ অক্টোবর সোমবার আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়- প্রবীণদের স্মরণ পরম শ্রদ্ধায়’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও প্রবীণদের কল্যাণে কর্মরত সংগঠনের উদ্যোগে আগামীকাল বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০ টায় আগাঁরগাও সমাজসেবা অধিদফতর এলাকায় র‌্যালি শুরু হবে, র‌্যালি শেষে অধিদপ্তরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জিল্লার রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পিআইবি সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘সেলিব্রেটিং লিজেন্ডস’ শীর্ষক আয়োজনের মাধ্যমে বার্ধক্য নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, গুণিজন এবং প্রবীণ ব্যক্তিসহ আটজনকে তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতার জন্য ‘পিআইবি-প্রবীণবন্ধু সম্মাননা ২০১৮’ প্রদান করা হবে। এছাড়া এদিন ‘প্রবীণের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. মহসীন কবির লিমন আজ বাসস’কে জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন।
তিনি জানান, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে প্রবীণদের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। ২০৫০ সালে এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি এবং ২০৬১ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি প্রবীণ জনগোষ্ঠী হবে।
মহসীন কবির জানান, ২০৫০ সালে বাংলাদেশে প্রতি ৫ জনে এক জন প্রবীণ হবেন, যা ওই সময়ের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।
‘প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে আগামী ২০৫০ সালে শিশুর চেয়ে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা এক শতাংশ বেশি হবে। ওই সময়ে শিশুর সংখ্যা হবে ১৯ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা হবে ২০ শতাংশ। তিনি প্রবীণদের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নীতি-নির্ধারকের প্রতি আহ্বান জানান।