আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখুন : রাষ্ট্রপতি

711

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার ষষ্ঠবারের মতো ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য।
আইনের আশ্রয়লাভ এবং ন্যায়বিচার পাওয়া দেশের প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে ব্যয় বহন করা দরিদ্র জনগণের পক্ষে অনেকাংশে সম্ভব হয় না। আবার আইন সম্পর্কে সার্বিক ধারণা না থাকাও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ প্রেক্ষিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তার ভূমিকা অপরিসীম।
মো.আবদুল হামিদ বলেন, ন্যায়বিচারে সকলের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ন করে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে দুঃস্থ, অসহায় ও সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইনগত সহায়তা ও আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন,সরকারের আইনি সহায়তা কার্যক্রম সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপুল অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি মনে করেন, সরকারের এ আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সুফল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। জাতির পিতার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলেই অবদান রাখবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।