চলতি র্অথবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে : নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

749

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : চলতি র্অথবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ।
এ সময় মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন বলে তথ্যববিরণীতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৎস্যখাতে ১১ শতাংশের অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ এর ওপর নির্ভরশীল।
দেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান র্সবোচ্চ। বর্তমান সরকারের আমলে মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যার র্বতমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলেই মৎস্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ইলিশমাছের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য।
বিশ্বে ইলিশের উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন প্রথমস্থানের অধিকারী তেমনই আমরা একাই ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকি। এসময়ে সার্বিক মাছের উৎপাদনও ২৭ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এটি ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন-লক্ষ্যমাত্রা ৪০ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টনের চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
সরকার স্থানীয় ও আন্তর্জাতকি বাজারে ইলিশের ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইলিশের স্যুপ, নুডলস ও পাউডার তৈরির প্রযুক্তি আবিস্কার করে ইতোমধ্যেই তা বাজারজাতও শুরু করেছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাটকাসমৃদ্ধ ১৭ জেলার ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত রাখতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩জন জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসের জন্য মোট ৩৮ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি জেলে পরিবারের প্রতিপরিবারকে মোট ৩৯ হাজার ৭৮৮ টন চাল প্রদান করা হয়েছে।
অথচ ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৯০৬ টন। অপরপক্ষে ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৬-১৭ র্অথবছর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৫ টন খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৮ সাল পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধিকালীন পরিবার প্রতি মাসিক ১০ কেজি হারে খাদ্য দেয়া হলে র্বতমানে ৪০ কেজি হারে খাদ্যসহায়তা প্রদান হচ্ছে।
এছাড়াও ইলিশ আহরণে জড়িত প্রায় ৭ লাখ জেলে এবং মা-ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে ২২দিনের জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার জেলেপরিবারের প্রতিপরিবাকে ২০ কেজি হারে প্রায় ৭ হাজার টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৩০৫ দশমিক ৬৮ টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে ৪২৮৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা।