আগামীকাল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস

387

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস।
এ বছর ‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন-নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, র‌্যালী, সভা সমাবেশসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শনিবার বিকেল ৪টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু জানান, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ দিবসটি পালন করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মর্মান্তিক রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সংকটে পড়ে। ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো যুগোপযোগী করে। সরকার ওই বছরই কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির গুরুত্ব, স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব স্পষ্ট করে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের দুই লাখ, দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষা সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলে সর্বোচ্চ তিন লাখ এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত গার্মেন্টস শ্রমিকদের চিকিৎসায় দুই লাখ এবং তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করছে।