সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কমনওয়েলথের দৃঢ় অবস্থান

758

ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহ ঐতিহাসিক ঘোষণায় বর্তমান ও ২০২০ সালের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে ঐতিহাসিক ঘোষণায় কমনওয়েলথের ৫৩ জন নেতা সাইবার অপরাধ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঘোষণা সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং ভৌগলিক দিক থেকে আন্ত:সরকারের একটি বলিষ্ঠ প্রতিশ্রুতি।
সিএইচওজিএম’র এই ঘোষণার পর অপরাধী গ্রুপকে সামলাতে ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারি রাষ্ট্রকে মোকাবেলায় সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা জোরদারে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহকে সহায়তা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ঘোষণার পর বলেন, সাইবার স্পেস আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অভিন্ন পণ্যের জন্য কমনওয়েলথ কানেকশনের বহুমুখি স্তরের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এতে অনেক ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে। কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একসঙ্গে কাজ করবে। তারা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক নিরাপত্তায় যে কোন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণা অর্থনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অনলাইন অধিকারের মতো বিষয়ে সাইবার স্পেসের লক্ষ্য নির্ধারন করেছে। কমনওয়েলথ সদস্য দেশসমূহের মধ্যে ছোট দেশগুলোর জন্য এই ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কমনওয়েলথ সদস্যভূক্ত ৫৩ টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৩১ টি রাষ্ট্রের জন্য এই ঘোষণা সাইবার অপরাধ বন্ধে সহায়ক হবে। তারা নিজেদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অগ্রগতি এগিয়ে নিয়ে যেতে বাস্তব মুখি পদক্ষেপ নিতে পারবে।
কমনওয়েলথ সিভিল এবং ক্রিমিনাল জাস্টিস রিফর্ম অফিসের প্রধান স্টীভেন ম্যালবে বলেন, কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক দলিল। এ দলিল কমনওয়েলথ সদস্যভূক্ত ৫৩ টি রাষ্ট্রকে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা এবং জনগনের অধিকার রক্ষায় কমনওয়েলথ এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বিশ্বব্যাপী সাইবার চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার অপরাধ বন্ধ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমনওয়েলথ দেশসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা এবং সাইবার স্পেস প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আলোচনায় কমনওয়েলথকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও বিচার কর্মকর্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা গড়ে তুলতে এই ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এই ঘোষণা কমনওয়েলথ সাইবার ইনিশিয়েটিভ(সিসিআই) ও কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনসহ (সিটিও) এ ক্ষেত্রে অব্যাহত কাজ করে যাবে।
সিটিও এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত দেশগুলোকে টেকনিক্যাল সহায়তা দিবে।