২০৩০ সাল নাগাদ ৮ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লী নির্মাণের প্রত্যাশা ইরাকের

1919

বাগদাদ, ১৬ জুন, ২০২১ (বাসস ডেস্ক) : ইরাক তাদের বৈদেশিক জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ আটটি পারমাণবিক বিদ্যুত চুল্লী নির্মাণ করতে চায়। দেশটি দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা একথা জানান। খবর এএফপি’র।
ইরাক বর্তমানে প্রতিবেশি দেশ ইরান থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানি করে ব্যবহার করে। ফলে এ প্রতিবেশি দেশের উৎপাদিত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ ইরাককে এককভাবে আমদানি করতে দেখা যায়।
ইরাকি রেডিওঅ্যাকটিভ সোর্সেস রেগুলেটরি অথোরিটির প্রধান কামাল লতিফ এএফপি’কে বলেন, ‘২০৩০ থেকে ২০৩১ সাল নাগাদ আমরা পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদার ২৫ শতাংশ উৎপাদন করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ তুলনামূলকভাবে সোলার বা অন্যান্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের বিপরীতে অনেক সাশ্রয়ী এবং বছরের যেকোন সময় পাওয়া যায়।
লতিফ বলেন, এ ব্যাপারে রাশিয়ান, কোরিয়ান, চাইনিজ, আমেরিকান ও ফ্রেন্স কোম্পানির সাথে বর্তমানে আলোচনা চলছে। এ বছরের শেষ নাগাদ পারমাণবিক চুল্লী নির্মাণের ব্যাপারে চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
ইরাক ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নতুন পারমাণবিক চুল্লী নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে- প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কেবলমাত্র বলেছেন, বাগদাদ সম্ভাব্য স্বল্প-সুদে ঋণের পাশাপাশি ২০ বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবে।