বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রেতাত্মারা দেশের শান্তি ও প্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : প্রধানমন্ত্রী

1282

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ছাত্রলীগ
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রেতাত্মারা দেশের শান্তি ও প্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : প্রধানমন্ত্রী

নীতির প্রশ্নে তিনি পিতার আদর্শকে ধারণ করে চিরদিনই আপসহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ার সময় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের ন্যায্য আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য জাতির পিতাকে ন্যূনতম জরিমানা এবং মুছলেখা দিয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার শর্ত দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ, যা তিনি মানেননি। তেমনি স্কুলজীবনে তাঁদের পরীক্ষায় (শেখ হাসিনা) আইয়ুব খাানের ওপর ২০ নম্বর ছিল। তিনি সেই ২০ নম্বর বাদ দিয়েই পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যাতে করে তিনি ওই বিষয়ে ফেল পর্যন্ত করতে পারতেন।
ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠতে হবে ছাত্রলীগকে। আদর্শের পতাকা ধারণের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেকে আদর্শবান নেতা হিসেবে যদি গড়তে পারো, দেশকে গড়তে পারবে। আর যদি সম্পদের লোভে গা ভাসিয়ে দাও তাহলে হারিয়ে যাবে, ভেসে যাবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়া অতীত ছাত্রনেতাদের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বহু ছাত্রনেতা চলে গেছে। কেউ বিএনপিতে গেছে, কেউ এখানে-সেখানে। তারা লোভে পড়েছিল, চলে গেছে। তারা কিন্তু আর কিছু দিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু যারা আদর্শ নিয়ে ধরে আছে, তারা দেশকে কিছু দিতে পেরেছে। এই কথাটা তোমরা মনে রাখবে।’
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মন দিয়ে পড়াশোনার করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, লেখাপড়া শিখতে হবে। সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে শিক্ষা। ধন-সম্পদ চিরদিন থাকে না। কিন্তু শিক্ষা এমন একটা সম্পদ, যে সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারে না।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গৌরবময় ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত আন্দোলন হয়েছে, সেখানে যদি শহীদের তালিকা দেখি- ছাত্রলীগের শহীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই বারবার অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার তো বয়স হয়ে গেছে, কাজেই তোমরাই হবে ভবিষ্যৎ। তোমরা নেতৃত্ব দেবে, কাজে তোমাদেরকেই আদর্শের পতাকা সমুন্নত রেখে, প্রগতির পথে, শান্তি পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে লক্ষ্য আমরা নির্ধারণ করেছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন আমার বাবা-মা। তারা জীবন দিয়ে গেছেন কিন্তু জাতির পিতার আদর্শের তো মৃত্যু নেই। সে আদর্শের পথ ধরেই আজকে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে আমরা উন্নিত হতে পেরেছি। আর সেই আদর্শ নিয়েই এদেশকে আমরা গড়ে তুলবো জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে।
বাসস/এএসজি-এফএন/২১২৫/এবিএইচ