গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম স্বচ্ছ রাখতে ছাঁকনি প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী

402

ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস ) : গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম স্বচ্ছ রাখতে ছাঁকনি প্রয়োজন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্বচ্ছ গণমাধ্যম সবসময়ই সহায়ক শক্তি।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম হাত ধরাধরি করে চলে। গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্বচ্ছ গণমাধ্যম সবসময়ই সহায়ক শক্তি। আর গণমাধ্যমের এ স্বচ্ছতা গণমাধ্যমকর্মীদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং তথ্য সচিব আবদুল মালেক বিশেষ অতিথি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাদের বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে গণতন্ত্রকে রাজাকার, জঙ্গি-সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি থেকে এবং গণমাধ্যমকে হলুদ সাংবাদিকতা, মিথ্যাচার, কটূক্তি, উস্কানি, খন্ডিত তথ্য ও গুজবের আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ছাঁকনির বিকল্প নেই।’
তিনি ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যারা লালন ও পুরস্কৃত করেছে, তারাই একাত্তরের রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষক এবং তারাই আজ গণতন্ত্র ও শান্তির সবচেয়ে বড় শত্রু। সে কারণেই বিএনপি-জামাতকে কোন ছাড় দেয়া যায় না।’
ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলেছে, সেই গণতন্ত্রকে স্বচ্ছ রাখতে এর দূষণ চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। আর এইজন্য রাজাকার-জঙ্গি ও এদের পৃষ্ঠপোষক খালেদা-তারেক, বিএনপি-জামাতকে কোন ছাড় দেয়া চলে না।
গণতন্ত্রের সাথে সাথে উন্নয়ন ও শান্তির পথে এরাই প্রধান বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে স্থায়ী শান্তির জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনেই এদের রাজনীতি থেকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।