বাসস দেশ-২৭ : স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে : কৃষিমন্ত্রী

350

বাসস দেশ-২৭
শোক দিবস-মতিয়া-নূর
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন,একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের হীন চক্রান্তের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। তারাই আবার নতুন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন বিভিন্ন সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একাত্তরের পরাজিত সেই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে। এ জন্য দেশের জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি উন্নয়নশীল ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপকমিটির আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে অবিস্মরণীয় ভাষণ ছিল। অনেকের কাছে এই ভাষণ নির্দেশ ছিল। তার ভাষণের মধ্যদিয়েই দেশের মানুষের জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ, পালন ও লালন করলেই তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, সাহস ও মূল্যবোধের সততাই আমাদের শক্তি। এই শক্তি নিয়েই সকলকে এগিয়ে যেতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
আলোচনা সভা শুরুর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাসস/এএসজি/এসএস/২০১০/-এইচএন