গণপূর্ত, রাজউক ও পাউবোর খাল-জলাশয়গুলোও সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

302

ঢাকা, ১৮ মে, ২০২১ (বাসস) : গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন খাল ও জলাশয়গুলো দু’সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয় থেকে অনলাইনে ঢাকা মহানগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে মহনগরীর খাল ও জলাশয়গুলো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ইতোমধ্যে ২৬ টি খাল দু’সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দু’সিটির মেয়ররা ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, খাল সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে আরো ১৭ টি খাল আছে। এই খাল ও জলাশয়গুলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসা থেকে পাওয়া খালের মতো গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকা খাল ও জলাশয়গুলোও দু’সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তারা সেগুলোর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
মন্ত্রী বলেন, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে আহবায়ক ও সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান দেবে। সে অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দু’সিটি কর্পোরেশন এ সকল খাল ও জলাশয়ের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে তাদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে রাজধানীর খাল সমুহ দখলমুক্ত, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। মশার প্রজনন ঠেকাতেও খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত জরুরি।
রাজধানীতে প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধা নিরসনে হাতিরঝিলের বন্ধ সকল স্লুইসগেট খোলা রাখার জন্যও তিনি সংশ্লিস্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, নগরীর অনেক বাসা-বাড়ির মালিক তাদের নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না রেখে সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে দিয়ে থাকেন। এ সকল বাড়ির মালিকরা নিজেদের সেপটিক ট্যাংক তৈরি না করলে এ লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।