ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার পাবেন : এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি

284

ঢাকা, ৫ পম, ২০২১ (বাসস) : সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দকৃত ৩শ’ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এ লক্ষ্যে, ফাউন্ডেশনে আলাদা একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে উদ্যোক্তাদের যোগযোগ নিশ্চিত করতে এই হেল্প ডেস্ক কাজও শুরু করেছে। ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোক্তারা যাতে সহজে যোগাযোগ করতে পারেন, সে-লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি-স্বাক্ষরকারি সকল ব্যাংক এবং অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ফোকাল পার্সনও নির্ধারন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঋণ বিতরণ বিষয়ে সারা দেশের এসএমই অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারের উদ্যোক্তাদের সাথে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানানো হয়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মোঃ মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ ভার্চ্যূয়াল সভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন,সরকারের প্রথম দফার প্রণোদনার আওতায় ঋণ নিতে পারেননি এমন উদ্যোক্তাসহ, নারী-উদ্যোক্তা, নতুন উদ্যোক্তা অর্থাৎ যারা এখনো ব্যাংক ঋণ পাননি, এবং পশ্চাদপদ ও উপজাতীয় অঞ্চলের উদ্যোক্তা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তারা এবার ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
মোঃ মফিজুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স গত রোববার থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণের আবেদন নেয়া শুরু করেছে।
শিগগিরই এসএমই ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি সই হওয়া বাকি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও আবেদন করা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ফাউন্ডেশনের প্রচলিত ক্রেডিট হোলসেলিং ব্যবস্থার মতো উদ্যোক্তারা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ পাবেন । তবে এ সীমা আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও মফিজুর রহমান আশ্বাস দেন।
এ মতবিনিময় সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি অনলাইনে যুক্ত হন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের এই প্রণোদনা প্যাকেজের সুফল যেন প্রান্তিক পর্যায়ের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা পান-তা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তারা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বনি¤œ ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ।