তিন মামলায় নয় দিনের রিমান্ডে হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজাহার

255

চট্টগ্রাম, ৩ মে ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় তিন মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে নয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নতুন করে আরও দুই মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আদেশ দেন। মুফতি হারুন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুফতি হারুন ইজহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘তিন মামলায় পুলিশ মুফতি হারুন ইজাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। আমরা রিমান্ডের বিরোধিতা করেছি। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক মামলায় তিনদিন করে মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া আরও দুটি মামলায় তাকে আজ শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ।
গত ২৮ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামের লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে আটক করে র‌্যাব। মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে। তিনি সদ্য বিলুপ্ত হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজতের কর্মীরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী, কক্সবাজারের মহেশখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং রাজধানী ঢাকায় জ্বালাও পোড়াওসহ তা-ব চালায়। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় তাকে অন্যতম মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ ঘটনায় তিনটি ও হেফাজতের নাশকতার আট মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চের সময় সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় হওয়া তিনটি মামলায়ও তিনি আসামি।
প্রসঙ্গত, হারুন ইজহার বিভিন্ন মামলায় ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদ্রাসায় হ্যান্ডগ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতলে ৫০০ গ্রাম করে নয় হাজার গ্রাম অ্যাসিড এবং গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তার পিতা ইজহারুল ইসলাম ও তার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন। #