বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা : ১৪ দল

511

ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। এই সা¤প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কোনো আপোষ নয়।
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তরা এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল, আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকারের অধীনেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের যে হাই কমান্ডকে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন তাদের নিয়ে গঠন করা হয় মুজিবনগর সরকার। আর এই সরকারের অধীনেই কাজ করেছেন সকল সেক্টর ও সাবসেক্টর কমান্ডারসহ বিভিন্ন ফোর্স। আজ যে যত কথাই বলুক না কেন এরা সবাই ছিলেন মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত।
আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে পত্রপত্রিকার আলোচনায় অনেকেই বলেছেন মুক্তিযুদ্ধে অনেকের আবদান ছিল , সহযোগিতা ছিল, এদেশের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, তাদের বক্তব্য সব ঠিক কিন্তু এই অবদান, সহযোগিতা কার নেতৃত্বে, কার আহবানে হয়েছিল তারা সেই সত্যকে গোপন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার এই অপপ্রয়াস কখনো সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, নীতির প্রশ্নে শক্তভাবে দাঁড়ালে কোনো অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। ২০১৩ সালের ৫ মে তান্ডবের পরই হেফাজত প্রশ্নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসা¤প্রদায়িক, চেতনাবোধ ও দেশপ্রেম সঠিকভাবে জাতীয় জীবনে প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। সা¤প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কোনো আপোষ নয়। দুধ দিয়ে সাপ পুষলে তার ফল কখনও শুভ হয় না।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি -জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম , তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা: শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।