প্রিমিয়ার লিগ: গ্রীনউডের জোড়া গোলে ইউনাইটেডের জয়, ফুলহ্যামের সাথে ড্র করেছে আর্সেনাল

388

লন্ডন, ১৯ এপ্রিল ২০২১ (বাসস) : ম্যাসন গ্রীনউডের জোড়া ড়োলে বার্নলিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে পয়েন্টের ব্যবধান আটে নামিয়ে এনেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে তলানির দিকে থাকা ফুলহ্যামের সাথে ১-১ গোলে কোনমতে ড্র করে পরাজয় এড়িয়েছে আর্সেনাল।
এই জয়ের পরে এবারের মৌসুমে ওলে গানার সুলশারের দলের প্রতিবেশী সিটিকে ধরা অনেকটাই অসাধ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু গ্রীনউডের পারফরমেন্স ছয় ম্যাচ বাকি থাকতে সিটিকে কিছুটা হলেও দু:শ্চিন্তায় ফেলবে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতয়ার্ধের শুরুতে গ্রীনউড ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। দুই মিনিট পরেই ৫০ মিনিটে জেমস টারকোস্কি বার্নলির হয়ে সমতা ফেরান। গ্রীনউডের দ্বিতীয় গোলে আবারো এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ৮৪ মিনিটের এই গোলের মাধ্যমে ১৯ বছর বয়সী এই ইংলিশ টিনএজার প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ইউনাইটেডের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েন রুনির সমান ১৫ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন।
স্টপেজ টাইমে এডিনসন কাভানি দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর এ নিয়ে টানা ৬টি লিগ ম্যাচে জয় তুলে নিল ইউনাইটেড।
ম্যাচ শেষে সুলশার বলেছেন, ‘ম্যাসন আজ দুর্দান্ত খেলেছে। বাম দিক থেকে দুটি দারুন গোল এসেছে। প্রতিদিন সে নিজেকে একটু একটু করে পরিনত করে তুলছে।’
সিটিকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা এবার হয়ত কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করার পথে দারুন ছন্দে রয়েছে রেড ডেভিলসরা। সুলশারের অধীনে প্রথম কোন শিরোপা জয়ের স্বপ্ন এখনো তাদের টিকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রানাডাকে সহজেই হারিয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে সুলশার বাহিনী, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান জায়ান্ট রোমা।
ম্যাচের শুরুতে ক্রিস উডের হেড অফসাইডের কারনে বাতি হয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বার্নলির। ৪৮ মিনিটে মার্কোস রাশফোর্ডের পাস ব্রুনো ফার্নান্দেস দারুনভাবে এড়িয়ে গেলে গ্রীনউড পোস্টের খুব কাছে থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। গত ছয় ম্যাচে ইংলিশ এই ফরোয়ার্ডের চতুর্থ গোলটি ১১৪ সেকেন্ড পরে অফসাইডের কারনে বাতিল হযে যায়। এ্যাশলে ওয়েস্টউডের কর্ণার থেকে বার্নলি ডিফেন্ডার টারকোস্কি হ্যারি ম্যাগুযেরের মাথার উপর দিয়ে লাফিয়ে হেডের সাহায্যে বল জালে জড়ালে দুই মিনিট পরেই সমতায় ফিরে সফরকারীরা। ৮৪ মিনিটে ডিফ্লেকটেড শটে আবারো ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন গ্রীনউড। শেষ মিনিটে ডনি ফন ডি বিকের পাস থেকে কাভানি দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর একটু হলেই ফুলহ্যামের বিপক্ষে প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেত যাচ্ছিল আর্সেনাল। প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও জোশ মায়ার পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় ফুলহ্যাম। কিন্তু ইনজুরি টাইমের সপ্তম মিনিটে এডওয়ার্ড এনকেইটার গোলে কোনমতে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে গানাররা। একইসাথে তলানির থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা ফুলহ্যাম রেলিগেশন জোনের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। মৌসুম শেষ হতে আর রয়েছে মাত্র পাঁচ ম্যাচ, রেলিগেশন খরা থেকে বাঁচতে ফুলহ্যাম ৬ পয়েন্ট দুরে রয়েছে।
নবম স্থানে থাকা আর্সেনাল শীর্ষ চারের অবস্থান থেকে ৯ পয়েন্ট দুরে রয়েছে। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে হলে ইউরোপা লিগে জয় ভিন্ন কোন বিকল্প নেই। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল।