ইসলামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

942

সংসদ ভবন, ৪ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ নেতা আজ সংসদে বলেছেন, তাঁর সরকার ইসলামের নামে অগ্নিসংযোগ হামলা ও ভাঙচুরের মতো অনৈসলামিক কার্যক্রমকে সহ্য করবে না। অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি এই ধরনের অপকর্মের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোকের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হবে এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরণের অপকর্মে যারা জড়িত আইনানুগ ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। যারা মুখে ধর্মের কথা বলে, ইসলামের নাম বলে চলবেন আর অধর্মীয় কাজ করবেন এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।’
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সার্কভূক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী সৃষ্ট অরাজকতা এবং হরতাল আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এর নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ অনেক মানুষের জীবন গেছে এর জন্য দায়ী তো তারা। কাজেই, আমি শুধু এইটুক বলব দেশবাসী যেন একটু ধৈর্য্য ধরেন। আমার কাছে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধরেই এগোতে হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দুঃখজনক বিষয় হলো, যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। সেই সময় যে ঘটনাগুলি ঘটানো হলো এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবথেকে আশ্চয্যের বিষয় যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি সেই সময় হ্যাঁ আমাদের অনেক বিদেশী অতিথি আসছে। অনেকে বার্তা দিচ্ছেন। ব্রিটেনের রানী থেকে শুরু করে সৌদি বাদশা সকলের বার্তা আমরা পাচ্ছি। এতো বড় একটা সম্মান বাংলাদেশ পাচ্ছে। সেখানে কারা খুশি হতে পারে নাই?
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসার কথা। তাকে আসতে দেওয়া যাবে না, বাধা দেওয়া হলো কেন? হেফাজতে ইসলাম কর্মসূচি দেয়। তারা কি শিক্ষা গ্রহণ করতে দেওবন্দে যায় না। তারা যদি এসমস্ত ঘটনা ঘটায়, তবে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেওবন্দে যাবে কিভাবে, সেটা কি তারা একবারও চিন্তা করেছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো কওমি মাদরাসায় সনদ দিচ্ছি। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি তাদের কারিকুলাম ঠিক করে দিচ্ছি। যাতে তারা দেশে বিদেশে চাকরির পায় তার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি তারপরেও কেন তারা এই তান্ডব ঘটালো?
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। বিএনপি জামায়াত জোট কিভাবে সমর্থন দিচ্ছে সেটাই আমার প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী মোদী আসবে সেখানে তাদের আপত্তি।
তিনি বলেন, আমার খুব অবাগ লাগে বিএনপির কর্মকান্ড দেখে। প্রথমে খুব আপত্তি হেফাজতের সাথে যতরকমের মদদ দেওয়া এবং জ্বালাও পোড়াও করার যে পরামর্শ সেটাও তারা দিয়েছে। এদের রাজনৈতিক কোন আদর্শ নেই। কোন আদর্শ নিয়ে তারা চলে না।
হেফাজত কান্ড নিয়ে সবিস্তারে সংসদে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ কেন ধৈর্য্য দেখিয়েছে? আমরা ধৈর্য্য দেখিয়েছি এগুলো বিরত করার চেষ্টা করেছি, কারণ, সংঘাতে সংঘাত বাড়ে, আমরা তা চাইনি। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভালোভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, যারা এটা করছে, দেশবাসী এটার বিচার করবে। দেশবাসী দেখবে এবং এদের চরিত্রটা কি? গতকালকে দেখেছেন এরা একদিকে ইসলামের নামে, ধর্মের নামে, পবিত্রতার নামে এতো কিছু বলে আবার গিয়ে একটা অপবিত্র কাজ করে আসে, ধরা পড়ে সোনারগাঁও’র রিসোর্টে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুহম্মদ মামুনুল হকের অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার মিডিয়াতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, একটা রিসোর্টে ধরা পড়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি ধরা পড়লেন এবং সেটা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা। পার্লারে কাজ করে এক মহিলা তাকে বৌ হিসাবে পরিচয় দেন, আবার নিজের বৌ এর কাছে বলে যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলে ফেলেছি।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে এরকম অসত্য কথা বলতে পারে? তারা তো বলতে পারে না। এরা কি ধর্ম পালন করে? মানুষকে কি ধর্ম শেখাবে?
শেখ হাসিনা বলেন, হেফাজতের যারা সদস্য তাদেরকেও অনুরোধ করব-একটু বুঝে নিন কেমন নেতৃত্ব আপনাদের। আগুন লাগিয়ে জ্বালাও পোড়ায় করে বিনোদন করতে গেলেন একটা রিসোর্টে তাও একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে। এটাই তো বাস্তবতা। অর্থাৎ এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে তারা ছোট করে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছু লোকের জন্য এই ধর্মে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নাম জুড়ে যাচ্ছে। আর এখন তো যে চরিত্র দেখালো দুশ্চিরত্রের নামও জুড়ে দিচ্ছে।
সংসদ নেতা বলেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। যে ইসলাম ধর্ম সব থেকে সহনশীলতার কথা শিখিয়েছে, শান্তির কথা বলেছে, সাধারণ মানুষের কথা বলেছে, মানুষের উন্নয়নের কথা বলেছে, সেই পবিত্র ধর্মকে এরা কলুষিত করে দিচ্ছে। এরা ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এদের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, এদের এতো অর্থ কোথা থেকে আসে এই বিনোদনের জন্য সেটাও একটা প্রশ্ন। কাজেই এটা দেশবাসী বিচার করবে, আর আইন তার আপন গতিতে চলবে।
তিনি বলেন, একজন মুসলমানের আরেকজন মুসলমানের জান মাল হেফাজত করা, রক্ষা করা দায়িত্ব। আর হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে। আর বিএনপি জামায়াত হচ্ছে তাদের মদদদাতা। এই লজ্জা শুধু বাংলাদেশের জনগণের না, এই লজ্জা বিশ্বব্যাপী, সমস্ত পৃথিবীতে মুসলমানদের জন্য। পবিত্র ধর্মটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের এই সমস্ত কর্মকা-ের ফলে বহু মানুষের জীবন গেছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালের ২১ মে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধীর মৃত্যুবরণের পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রাজিব গান্ধীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমরা যোগদান করেছিলাম তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে প্রায় সবাই এসেছিলেন। আমেরিকা থেকে, ব্রিটেন থেকে- প্রিন্স চার্লস, ইয়াসির আরাফাতসহ সকলে উপস্থিত। ফিলিস্তিন প্রধানমন্ত্রী ইয়াসির আরাফাত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়ালে খালেদা জিয়া হাত গুটিয়ে বসে থাকলেন। কিন্ত সেই খালেদা জিয়াকে দেখলাম মোদীর সাথে হ্যানশেক করার ছবি। সেই হাত যেন আর ছাড়ে না। শুধু তাই না তার সঙ্গে টেলিফোনে তার যে সেই খিলখিল হাসি। তার যে হাসির আওয়াজ সেটাও তো সকলের কানে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় পুনরায় প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে দেন বেগম খালেদা জিয়া দিকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদী আসবেন তখন বাধা দেওয়া হয় এবং হেফাজতের সাথে হাত মেলানো কেন? কি ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি তখন শুরু করল হেফাজতের তা-ব। হেফাজত তো একা নয় হেফাজতের সঙ্গে জামায়াত বিএনপিও জড়িত। তাদের প্রত্যেকটা কর্মকা-ে দেখা যায়। হেফাজতের সকলেই যে এরমধ্যে জড়িত তাও কিন্ত না। এটাও বাস্তবতা। তারপরেও দেখেছি ২৬ মার্চ হেফাজত একটা গুজব ছড়ালো বায়তুল মোকাররমে মানুষ মারা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে সহিংসতা চালায় এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজত এবং বিএনপি জামায়াতের বিবৃতি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক অংশ। ২৮ মার্চ হরতাল দিয়ে সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে তারা তান্ডব চালায়। আওয়ামী লীগ অফিস দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর সরকারি অফিস আদালত পরিবহনে হামলা ও ভাঙচুর এবং পোড়ানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ এবং এক সপ্তাহের লক ডাউন প্রসঙ্গেও বিস্তরিত সংসদে তুলে ধরেন।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাস নামের যে মহামারী দেখা দিয়েছিল তার দ্বিতীয় ঢেউ এখন আবার শুরু হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জানি, কষ্ট হবে, তারপরেও সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সংসদে আসার আগেই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে, নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি সংসদে বলেন, হয়তো মানুষের একটু সমস্যা হবে তারপরেও আমি বলবো জীবনটা অনেক বড়, জীবনটা আগে। মানুষের জীবন বাঁচানো এটাই সকলের করণীয়। তাই, এই ভাইরাসের সংক্রমণটা যাতে না বাড়ে এবং এই দ্বিতীয় সংক্রমণে যেটা হচ্ছে সেটা সমগ্র বিশ^ব্যাপী আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই, দেশের মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম ২৯, ৩০ এবং ৩১ মার্চ এই তিন দিন খুব বেশি বেড়ে গেল করোনা মৃত্যু হার ও সংক্রমণ। এরপর থেকে এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কখনও কমছে-এই অবস্থা। সে কারণেই আমাদের এই ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, বিয়ে-শাদী এ সকল অনুষ্ঠান সব বন্ধ রাখতে হবে। যেখানেই লোক বেশি, ভীড় হয় সেসব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।’
তিনি কোন লোক সমাগম বা বাজারে গেলে সেখান থেকে ফিরেই গরম পানির ভাপ গ্রহণে সকলকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এবারের ভাইরাসের ধরণটা এমন চট করে বোঝা যায় না কি হয়েছে, হঠাৎ করেই খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। যে কারণে সবাইকে সাবধান থাকার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, এরআগে দেখা গেছে করোনায় বয়স্করাই সংক্রমিত হয়। কিন্তু, নতুন রোগের ধরণে দেখা যাচ্ছে তরুণ এবং শিশুরাও সংক্রমিত হচ্ছে। কাজেই, তরুন ও শিশুদেরকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্যও সবাইকে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাছাড়া, আমরা পর্যটনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের প্রবেশস্থলেও কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই তাদের যাতায়াত বন্ধ করেছে। শপিং মলগুলোতে অনলাইনে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে কিন্তু সরাসরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ১১ এপ্রিলের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে যেন মানুষের সংক্রমণ না হয়।
সরকার সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, উল্লেখ কলে তিনি বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা দিয়েছি এতে করে আমরা মনে করি যে ব্যবস্থা নিয়েছি সেটাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। তবে, এরপরে মানুষ যেন একটু ডেসপারেট হয়ে গিয়েছে সেটাও বন্ধ করতে হবে। সবাইকে অবাধে চলাফেরাটা বন্ধ করতে হবে।
তিনি এ সময় মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলমান বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তার সরকারের গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।