কোইকার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন

331

ঢাকা, ৩ এপ্রিল, ২০২১ (বাসস): কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা) এবং কোইকা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (কেবিএএ) যৌথভাবে কোইকার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে সংস্থাটি গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার’ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও কেবিএএ প্রেসিডেন্ট মনজুর হোসেন,অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুন ও কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং-আহ দোহ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, কোইকা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় প্রকল্পে আইসিটি খাতে কাজ করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য সাহায্য করেছে। তিনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কোইকার অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, কোইকা বাংলাদেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শুরু থেকে কাজ করে চলেছে। কেবিএএ প্রেসিডেন্ট মনজুর হোসেন বলেন, কোরিয়ায় শিক্ষা গ্রহনকারী বাংলাদেশীরা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আশা প্রকাশ করেন, দু’দেশের যৌথ উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অংশীদারিত্ব উভয়ের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বেগবান করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে।
কোইকা ১৯৯১ সালের ১ এপ্রিল কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সহায়তা কার্যক্রমের জন্য নিবেদিত একটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯১ সালে এর বার্ষিক বাজেট ছিল ১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে সংস্থাটি মোট ৮৫৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করে।