বাসস দেশ-৪০ : বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হালাল এক্রিডিটেশন ফোরামের সদস্য হতে যাচ্ছে

172

বাসস দেশ-৪০
বাংলাদেশ-হালাল-এক্রিডিটেশন
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হালাল এক্রিডিটেশন ফোরামের সদস্য হতে যাচ্ছে
ঢাকা, ২৪ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজারে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করতে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হালাল এক্রিডিটেশন ফোরামের (আইএইচএএফ) সদস্য হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে তার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।
শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বাসসকে বলেন, আইএইচএএফ’র সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের সার্টিফিকেট বিশ্বের সর্বত্র গৃহীত হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ ইসলামি দেশসমূহের স্ট্যান্ডার্স এন্ড মেট্রোরোজি ইন্সিটিউটের (এসএমআইআইসি) সদস্যপদ পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক হালাল বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সরকার বাংলাদেশি হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া উইং এর ডিরেক্টর জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি)-২০৩০ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জনের জন্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশকে হালাল শিল্পের দিকে যেতে হবে। হালাল শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমরা যদি আমাদের রপ্তানি বিদ্যমান ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে চাই তবে, আমাদের হালাল শিল্পের দিকে অগ্রসর হতে হবে।’
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জোনের উন্নয়ন পরামর্শক একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী হালার পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে বেজা তার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘হালাল হাব’ প্রতিষ্ঠার জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা প্যাকেজসহ উন্নত জমি সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র, যার জনসংখ্যা ১৭ কোটিরও বেশি এবং এদেশের অধিকাংশ মানুষ হালাল খাবাব গ্রহণে আগ্রহী। সুতরাং, আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিজেদের খাবার জন্য হালাল পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের দিকে মনোনিবেশ করবে। তবে তিনি বলেন, দেশে হালাল পণ্যের সনদপত্র দেয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা না থাকায়, হালাল শিল্পপণ্য বিক্রি ও বিদেশে হালাল পণ্যের বাজার সৃষ্টির ব্যাপারে ঘাটতি রয়েছে।
হালাল পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও এদেশ বহিবিশ্বে এই ব্যবসায়ের বহুমুখীতা আনতে পারেনি।
মাহবুবুর রহমান জানান, বৈশ্বিক হালাল শিল্পের সম্পদের পরিমাণ ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং তা বার্ষিক ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শিল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫৬০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়।
তিনি বলেন, তাই বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম সম্প্রসারণশীল ভোগ্যপণ্যের এই বিশাল বাজারটি ১.৮ বিলিয়ন মুসলিমের বৈশ্বিক বাজারে শুধুমাত্র খাদ্য ও খাদ্যপণ্য সংক্রান্ত পণ্যের মধ্যে সীমিত থাকতে পারে না। হালাল খাদ্য পণ্যের সীমানা ছাড়িয়ে হালাল শিল্পের এই খাতটি এখন ভেষজ, প্রশাধনী, স্বাস্থ্যপণ্য, টয়লেটারী, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি বহুমুখী ক্ষেত্রে বিস্তৃতি লাভ করছে।
বাসস/এসপিএল/অনুবাদ-এএএ/২০০০/কেএমকে