বাসস দেশ-৪৩ : ঢামেকে অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি

142

বাসস দেশ-৪৩
ঢামেক-আগুন- কমিটি
ঢামেকে অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি
ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২১ (বাসস): ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বাসসকে বলেন, অধিদফতরের উপ-পরিচালক (অ্যাম্বুলেন্স) নূর হাসানকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন-উপ-সহকারি পরিচালক শাহজাহান শিকদার, ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর এসএম সানাউল্লাহ ও দেবব্রত মন্ডল। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকান্ডের খবরে মোট পাঁচটি ইউনিট পাঠানো হয়। তবে ধোঁয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। আগুনের কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
লিমা খানম বলেন, বুধবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানিয়েছেন, আগুনে হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, এ তিনজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগুন লাগার পর তাদের হাসপাতালের অন্য বিভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮)। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার মিয়া। বাড়ি মানিকগঞ্জ সদরে। তিনি গত ৪ মার্চ থেকে আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন, কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৩)। তার বাবার নাম কাজী বেলায়েত হোসেন। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখানে থাকতেন। তিনি গত ১২ মার্চ থেকে আইসিইউর ৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং কিশোর চন্দ্র রায় ৬৮)। বাবার নাম বাদিরা লাল রায়। বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি গত ৯ মার্চ থেকে আইসিইউর ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/২০১৩/এবিএইচ