বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত করে : মোজাম্মেল হক

400

ঢাকা, ৬ মার্চ ২০২১ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত করে। মুক্তিকামী বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘৭১-এর ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকেই সারাদেশে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছিল। তারই অংশ হিসেবে জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। মন্ত্রী আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআরএফের) ও গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতার পথে প্রতিটি ঘটনা ইতিহাসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস রচনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সকল তথ্য, সকল ঘটনা সঠিকভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার তৃণমূল চিত্র এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সংঘটিত দেশের তৃণমূল পর্যায়ে যে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল তা সঠিকভাবে তুলে ধরে যার যার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল ‘৭১-এর ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চৌরাস্তায়। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় এই সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন ।
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলী অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক ও বিজেআরএফ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, উনিশে মার্চের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুদল বারী , ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেন, ব্রোবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামিম আল মামুন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামিম আরা, ১৯ মার্চের অন্যতম ছাত্র সংগঠক আবুল হোসেন মন্ডল, নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাছিমা আক্তার সোমা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক আয়ুউব ভুঁইয়া।