বাসস দেশ-৫০ : মেডিকেল ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের পরামর্শ

436

বাসস দেশ-৫০
ওয়েস্টসেফ-আন্তর্জাতিক সম্মেলন
মেডিকেল ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের পরামর্শ
ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১(বাসস) : মেডিকেল ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ‘পলিউটার্স পে প্রিন্সিপাল’ গ্রহণসহ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে ওয়েস্টসেফ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।
‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পৌর ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ওয়েস্টসেফ-২০২১-এর সমাপনী দিনে আজ রোববার অংশীজনের মতামত ও গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
সম্মেলনের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থপনার জন্য সর্বস্তরে বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার, পুনুরুদ্ধার, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং পুনঃউৎপাদনের চর্চা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উত্তরণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টাইম ফ্র্রেম নির্দিষ্ট করে এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে। সার্কুলার ইকোনমির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ পৌর ও মানব বর্জ্য এবং ওয়েস্ট ওয়াটারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং সরকারি পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল,পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ৭ম বারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওয়েস্টসেফ-২০২১ এর আয়োজক খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর একার্ড ক্রাফ্ট, ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রাফায়েলো কসু, প্রফেসর মারিয়া ক্রিস্টিনা লাভাগনলো, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাধন কুমার ঘোষ, নেপালের ড. নওরাজ খতিওয়াদা, বাংলাদেশের প্রফেসর কিউএইচ বারী, প্রফেসর খন্দকার মাহবুব হাসান, প্রফেসর রাফিজুল ইসলাম এবং ড. খালিকুজ্জামন বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/এসএস/২১৩০/-এইচএন