সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

701

সংসদ ভবন, ১১ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সংসদে এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কর্মকান্ড ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ভোগান্তি ও গোলযোগ বন্ধে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হলো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ অফিস-আদালতে যেতে এবং কাজকর্ম করতে পারছে না। সব জায়গাতেই এ অবস্থা বিরাজ করছে। জেলায় কোটা আছে। কিন্তু সেই জেলায় যে ইউনির্ভার্সিটি রয়েছে সেখানেও তারা রাস্তায় নেমে যাচ্ছে। যখন জেলায় যারা তারাও কোটা চায় না, তারাও রাস্তায় নেমে গেছে। যখন কেউ-ই চায়না, তখন কোন কোটাই থাকবে না, কোন কোটারই দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘কোন কোটার দরকার নেই। ঠিক আছে, বিসিএস যেভাবে পরীক্ষা হচ্ছে সেভাবে মেধার মাধ্যমে সব নিয়োগ হবে। এতেতো আর কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। আর যারা প্রতিবন্ধী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবো। তারাও জয়েন্ট করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা কোটায় সুযোগ পাচ্ছে তারাওতো মেধাবী, সেখানেও তো মেধা থেকেই নিয়োগ হচ্ছে। কাজেই তাদের মেধাকেও যদি আমরা ধরি, তাহলে দেখা যাচ্ছে শতভাগই মেধাবী নিয়োগ পাচ্ছে। তারপরও আন্দোলন চলছে, তারা রাস্তা বন্ধ করে রাখছে। এমনিই যানজট, তার ওপর তীব্র যানজট। রোগী যেতে পারছে না হাসপাতালে। দেখা যাচ্ছে গাড়িতেই মারা যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক সম্পূক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি ছাত্রদের বলবো- তারা তাদের আন্দোলন অনেক করেছে। এখন ক্লাসে ফিরে যাক, যারা ভিসির বাড়ি ভেঙ্গেছে এবং লুটপাট করেছে, সেই লুটের মাল কোথায় আছে, কার কাছে আছেÑ ছাত্রদেরই তা খুঁজে বের করে দিতে হবে। সেই সাথে যারা এই ভাংচুর লুটপাটের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে।’