বাসস দেশ-৫২ : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শীঘ্রই মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে চায় ঢাকা : পররাষ্ট্র সচিব

247

বাসস দেশ-৫২
বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শীঘ্রই মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে চায় ঢাকা : পররাষ্ট্র সচিব
ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত আলোচনায় যোগ দিতে নেপিডো ব্যর্থ হলে চীনের মধ্যস্থতায় ঢাকা শীঘ্রই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছে।
এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার হলো বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক করা, আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো (মিয়ানমার ভার্চুয়াল বৈঠকে দেবে কি দেবে না)।
সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ, চীন এবং মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু সম্পর্কে আলোচনা এগিয়ে নিতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মাসুদ বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে সম্প্রতি সচিব পর্যায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোডম্যাপ এগিয়ে নিতে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য ঢাকার প্রস্তুত রয়েছে বলে ইতোমধ্যেই চীনকে জানিয়ে দিয়েছে।
সোমবার মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করে এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেতাদের এবং বেসামরিক নেতা অং সান সুচিকে গ্রেফতারের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ঢাকা এখনো মিয়ানমার সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি এ কথা স্বীকার করে মাসুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে গতকাল তিনি এখানে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, তারা মিয়ানমারের অন্তবর্তী সরকারের নতুন ১১ মন্ত্রী পরিষদের কার্যক্রম শুরু হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করবে।
“মিয়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আমরা কোন সমস্যা দেখছি না” এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগেও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, ঢাকা নেপিডোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোন কারণ দেখছে না।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধানের সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, ঢাকা বিভিন্ন পর্যায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমের কাছে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবে, কে ক্ষমতায় আছে সেটা বিষয় নয়।
তিনি বলেন,“ মিয়ানমার সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা চলবে, এ আলোচনা কোন ব্যক্তির সাথে নয়।”
১৯৭৮ এবং ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অধীনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “আমার বিশ্বাস যে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো।” মাসুদ বলেন, ১৯ জানুয়ারি সচিব পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরে ঢাকা এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে “সতর্কতার সাথে আশাবাদী” হয়েছিল, নেপিডো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে নমনীয়তা দেখিয়েছিল।
বাসস/এএসজি/টিএ/অনু এমএবি/২৩৪৭/এবিএইচ