বাসস ক্রীড়া-১৩ : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পাইন, বাদ পড়লেন ওয়েড

159

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-দ.আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড-স্কোয়াড
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পাইন, বাদ পড়লেন ওয়েড
সিডনি, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস/এএফপি): দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য টিম পাইনের উপরই আস্থা রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ৪ টেস্টে সুযোগ পেয়েও ভালো করতে না পারায় টেস্ট দলে থেকে বাদ পড়েছেন ম্যাথু ওয়েড। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক থাকবেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
সীমিত ওভারের নিয়মিত কিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি সুযোগ পেয়েছেন টেস্টে। ভবিষ্যতে টিম পাইনের জায়গা নেওয়ার পথে তার যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে এই সফর থেকে। পাশাপাশি প্রয়োজনে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারবেন চলতি বিগ ব্যাশে দুর্দান্ত ফর্ম দেখানো ক্যারি ।
দক্ষিন আফ্রিকায় তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের। পুর্বের সুচি অনুযায়ী এই সফরের কথা ছিল গত বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে সেটি আটকে আছে। যদিও বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই ট্যুরটি সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেটি অনুষ্ঠিত হতে পারে মার্চ-এপ্রিলে।
এদিকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড সফরে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ ক্রিকেট দল। এ সময় ৫ ম্যাচের সিরিজে অংশগ্রহন করবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তবে দক্ষিন আফ্রিকা সফর সুচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় থাকতে পারছেন না ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও প্যাট কামিন্স।
দলে জায়গা পেয়েছেন পেয়েছেন অনভিষিক্ত সিন অ্যাবট, মাইকেল নেমেসর ও মিচেল সুইপসন। সঙ্গে আছেন পেসার মার্ক স্টেকেটি ও অ্যালেক্স ক্যারি । ২৯ বছর বয়সি ক্যারির অন্তর্ভূক্তি একেবারেই ব্যতিক্রম। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সিমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সি অধিনায়ক টিম পাইনের সম্ভাব্য উত্তরসুরি হিসেবে তাকেই বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় নির্বাচক ট্রেভর হন্স মনে করেন পাইন এখনো এই কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি।
তবে দুই দল মিলিয়ে সবচেয়ে আলোচিত নাম সম্ভবত তানভির সাঙ্ঘা । তার বাবা জগা সিং ভারতের পাঞ্জাব থেকে নব্বই দশকের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। ক্রিকেট জীবনের শুরুতে তানভির হতে চেয়েছিলেন ফাস্ট বোলার। কিন্তু বলে গতি ছিল না বলে কোচরা তাকে পরামর্শ দেন স্পিনার হতে। তিনি অফ স্পিন শুরু করেন। কিন্তু এবার বাধার মুখে পড়েন, তার আঙুলগুলো খুব লম্বা নয় বলে। শেষ পর্যন্ত ১৩ বছর বয়সে মন দেন লেগ স্পিনে। কবজির মোচড়েই খুঁজে পান ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরে জায়গা করে নেন গত বছর অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া দলে।
যুব বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে তার শিকার ছিল ১৫ উইকেট, টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করে তিনি।
বিগ ব্যাশের চলতি আসরে অভিষেকে দারুণ বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে । ১৪ ম্যাচে তার শিকার ২১ উইকেট, এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিনার। এই পারফরম্যান্সেই সুযোগ মিলে গেল জাতীয় দলে।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ম্যাথু ওয়েড (সহ-অধিনায়ক), অ্যাস্টন আগার, জেসন বেহরেনডর্ফ, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেন ম্যাকডারমট, রাইলি মেরেডিথ, জশ ফিলিপ, ঝাই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন, ড্যানিয়েল স্যামস, তানভির সাঙ্ঘা, ডি আর্চি শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস এ্যাস্টন টার্নার, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল : টিম পাইন (অধিনায়ক), প্যাট কামিন্স (সহ-অধিনায়ক), সিন অ্যাবট, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রীন, মার্কাস হ্যারিস, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, মোইসেস হেনরিকস, মার্নাস লাবুশেন, নাথান ণিঁও, মাইকেল নেসের, জেমস প্যাটিনসন, উইল পুকোভস্কি, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্ক স্টেকেটি, মিচেল সুইপসন, ডেভিড ওয়ার্নার।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৯১৫/স্বব