মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে গৃহহীনদের মাঝে বাড়ি বিতরণ

1020

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।
‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সরকার গৃহহীন লোকদের জন্য একহাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহ নির্মাণ করেছে। আগামী মাসে গৃহহীনদের মাঝে আরো প্রায় ১ লাখ গৃহ বিতরণ করা হবে।
বাসস-এর জেলা সংবাদদাতারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ : ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে আজ ৭৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে বসতবাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৪৮০টি, কাশিয়ানিতে ২০০টি, মুকসুদপুরে পঞ্চাশটি, কোটালীপাড়ায় ৩০টি এবং টুঙ্গিপাড়ায় ২৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাবনা : মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় আজ প্রথম পর্যায়ে একহাজার ৮৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার -কে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা সদর উপজেলায় ৪৪৯টি, সাথিঁয়ায় ৩৭২টি, আটঘরিয়ায় ৮৫টি, ফরিদপুরে ৫০টি, ঈশ্বরদীতে ৫০টি, চাটমোহরে ৩০টি, সুজানগরে ২০টি, বেড়ায় ২০টি এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১০ টি পরিবার এই স্বপ্নের নীড় পেলেন।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, দুই শতক জমির উপর সেমি পাকাঘরে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে। আরও থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।
কুষ্টিয়া: ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে গৃহ হস্তান্তরের প্রথম পর্যায়ে আজ জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ১৮৫ টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আশ্রয়ন প্রকল্পে আওতায় গৃহহীনদের জন্য জেলায় সর্বমোট ৩৩৮ ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
দিনাজপুর : জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পেয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৭৬৪টি বাড়ি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে প্রথমপর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহ গৃহহীন ও উপকারভোগি পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তথ্য জানান দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।
তিনি জানান, দিনাজপুর জেলায় মোট ১৩ হাজার ২১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এসব গৃহের মধ্যে ৫ বা ততোধিক গৃহ যেসব স্থানে গুচ্ছ আকারে নির্মিত হচ্ছে, সেসব স্থানকে “জয় বাংলা ভিলেজ” নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১৭২টি “জয় বাংলা ভিলেজ” গড়ে উঠছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির পর অবশিষ্ট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলার সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাতক্ষীরা : জেলার একহাজার ১৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে নতুন বাসস্থান। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য নির্মিত বাসগৃহগুলো নির্মাণ কাজ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
সিরাজগঞ্জ: মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথমপর্যায়ে জেলার ৯টি উপজেলার ৭৯৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ঘর’।
খুলনা : জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি পরিবারকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট নবনির্মিত ঘরসহ জমি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
খুলনা জেলায় ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত ভুমিহীন ও গৃহহীন ৫ হাজার ৮৮টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে গৃহ প্রদান করা হবে। এর অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী: ‘আশ্রায়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শীর্ষক শ্লোগানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে জেলায় ১৫০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার আজ জমি ও পাকা ঘর পেয়েছে। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলায় ৮৫৫ পরিবারের জন্য বরাদ্ধকৃত ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া ১৫০টি ঘর আজ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে বাকী ৭৫০ টি পাকা ঘর হস্তান্তর করা হবে।
ভূমি ও ঘরের দলিল হাতে পেয়ে উপকারভোগি পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বগুড়া : মুজিববর্ষ উপলক্ষে বগুড়ায় প্রথম পর্যায়ে ঘর পেল একহাজার ৭০২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাথা গোঁজার ঠাঁয় পেয়ে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে গৃহহীনরা। জেলার সব উপজেলায় গৃহহীনদের ঘর গুলোকে বেলুন ও ব্যানার ব্যানারের ছেয়ে গেছে আশ্রায়নগুলো।
জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, উপজেলা চেয়ারম্যান মুহম্মদ মুনজিল আলী সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত রাসেল মিয়া, নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতির উপস্থিতিতে গৃহহীনদের কাছে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা ঘরগুলো হস্তান্তর করেন।
কুমিল্লা : দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৫৯টি নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জেলার ১৭টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৭৪৩টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে নবনির্মিত ৩৫৯টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর : জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় মোট ২৮৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২১০টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ২১০টি ঘরের মধ্যে জেলার কাপাসিয়ায় ১০০টি, কালিয়াকৈরে ৯০টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ২০টি গৃহ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাপাসিয়ায় ৪২টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৫৫টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ২০টি গৃহ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। এসব গৃহ উপকারভোগীদের নামে কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ : জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দকৃত ৬৬৭টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩৪৬টি পরিবারকে ২ শতাংশ পরিমাণ জমির ওপর নতুন ঘর, রান্নাঘর,টয়লেট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৩২১টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দকৃত এসব ঘরে বিদুৎ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
শেরপুরে : জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, জেলায় একহাজার ৩৩৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ২০৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
শরীয়তপুর : জেলায় ৬৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের মাঝেবিনামূল্যে ঘর হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, প্রধানমন্ত্রী’র উপহার হিসাবে ২ শতক জমির কবুলিয়াত দলিল ও সনদসহ পাঁচশ’টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
পিরোজপুর: জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, পিরোজপুরের জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত ১ হাজার ১৭৫টি ঘরের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৩৭৫টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যাদের জমি নাই তাদের ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া পূর্বক কবুলিয়ত দলিল ও নামজারী সম্পন্ন করে উপকারভোগিদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও : জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে গৃহ হস্তান্তরের জন্য জেলার ৫টি উপজেলায় ৭৯২টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ১ হাজার ২১৭টি গৃহের জমি নির্বাচন ও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
হবিগঞ্জ: জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, জেলার সদর উপজেলায় ১৩৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ৫০টি, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৫৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ২৫টি, লাখাইয়ে ৭৭টির মধ্যে প্রথমধাপে ১৮টি, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১১০টির মধ্যে প্রথমধাপে ২৫টি, বানিয়াচংয়ে ১০৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ৩৭টি, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৮৮টির মধ্যে প্রথমধাপে ২০টি, চুনারুঘাটে ৮০টির মধ্যে প্রথমধাপে ৭৪টি, বাহুবলে ৫৭টির মধ্যে প্রথমধাপে ৩০ টি এবং মাধবপুর উপজেলায় ৮০টির মধ্যে প্রথমধাপে ৪৬টি ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেট : জেলার ১৩ টি উপজেলায় ৪ হাজার ১৭৮ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে স্বপ্ন নীড় নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে একহাজার ৪০৬টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ঘরগুলোও নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। যাচাইবাছাই শেষে প্রকৃত ভূমিহীন ও ঘরহীনদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তিনি জানান, সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্যে সিলেট সদরে ১৪৪টি, দক্ষিণ সুরমায় ১২০ টি, বিশ্বনাথে ৬৬৯টি, ওসমানীনগরে ৫৩৩টি, বালাগঞ্জে ৮৭৫টি, বিয়ানীবাজারে ১০৪টি, গোলাপগঞ্জে ২০০টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৩০টি, গোয়াইনঘাটে ৫০০টি, কানাইঘাটে ১৯৩টি, জৈন্তাপুরে ৩৩০টি, জকিগঞ্জে ১৩০টি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৫০টি ঘর নির্মাণ ‘স্বপ্ন নীড়’ করে দিচ্ছে সরকার।
ঝালকাঠি : জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলার ৪৭৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। ইতিমধ্যে বসবাসের জন্য প্রস্তুত ২৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
নীলফামারী : জেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, জেলায় আজ ৬৩৭টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৯, সৈয়দপুরে ৩৪, ডোমারে ৩৮, ডিমলায় ১৮৫, জলঢাকায়, ১৪১ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৪০ টি পরিবার রয়েছে। এতে ১২ দশমিক ৭৪ একর জমি সরকারের পক্ষ থেকে ওই পরিবার গুলোর মাঝে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ খরচ হয়েছে একলাখ ৭৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে পরিবহন খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ঢাকা।
মেহেরপুর : জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান, জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৮ টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হবে।
বান্দরবান : জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ৬ হাজার ৮৬৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ১৩৪টি বাড়ী তৈরির কাজ চলমান রয়েছে এবং প্রথমে তৈরিকৃত ৩৩৯টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ প্রদান করা হবে।
জয়পুরহাট : জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৪৬টি, পাঁচবিবি উপজেলায় ৪৫টি,আক্কেলপুর উপজেলায় ২১টি, কালাই উপজেলায় ৪০টি ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে।
নড়াইল : জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩২৫টি বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০৫টি বাড়ি নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আরও ২২০টি বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নাটোর: জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, জেলায় ৫৫৮টি সেমিপাকা গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট জমির মালিকানা দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ : জেলার গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধা পাকা ঘর স্বপ্ননীড়। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান।
বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক জানান, জেলায় গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য ৪১৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় গৃহ নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আরও ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড় : জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরী করা হয়েছে একহাজার ৫৭ টি পাকা বাড়ি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ২০৮ টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫৮২ টি, বোদা উপজেলায় ৫৫টি, তেতুলিয়া উপজেলায় ১৪২টি, আটোয়ারী উপজেলায় ৭০ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে।