বাসস দেশ-৩৯ : ‘তদন্ত কমিশন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে’

646

বাসস দেশ-৩৯
প্রেসক্লাব-শোক দিবস
‘তদন্ত কমিশন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে’
ঢাকা, ১৪ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। যারা এই হত্যাকান্ডের পরিবেশ তৈরি করেছে, যারা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেছে, খুনীদের ছত্রছায়া দিয়েছে, একটি কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
আলোচনা অংশ নেন- সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক শ্যামল দত্ত।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড ঘটানোর আগে পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার দেশি বিদেশী চক্রান্ত চলছিল। বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছিল যে, বঙ্গবন্ধু দেশ চালাতে পরছেন না।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ সারা বিশ্বে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পর জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয়ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের জাতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদেরও অধিকার রয়েছে জাতির পিতার হত্যাকান্ডের সামনে পিছনের সব ঘটনা জানার।’
মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট কেন জন্ম হয়েছিল? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, রাষ্ট্রর সকল দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা চুপ ছিল।কেন চুপ ছিল? তারা তো রাষ্ট্রর গুরুত্বপুর্ণ পদে ছিলেন। তারা চুপ ছিলেন কারণ দেশের প্রতি তাদের আনুগত্য ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘৭৫ সালের পরে কারা ঘাতকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল, তাদের তখনকার রাজনীতিটা কি ছিল, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে জাতির কাছে।
বাসস/সবি/এমকে/২১৪০/এবিএইচ