বাসস দেশ-৫৫ : ভ্যাকসিন বিতরণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ

346

বাসস দেশ-৫৫
কোভিড- বিতরণ
ভ্যাকসিন বিতরণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ
॥ মোর্শেদুর রহমান ॥
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : পূর্বে গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দেশব্যাপী কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন বিতরণে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, অক্সফোর্ড-আ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বাসসকে বলেন, “অক্সফোর্ড-আ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রথম চালান ২৬ জানুয়ারি নাগাদ দেশে পৌঁছাবে।”
আলম বলেন, মাসের শেষ দিকে প্রথম চালানে প্রায় ৫০ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ দেশে পৌঁছাবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশব্যাপী কোভিড ১৯ টিকাদান শুরুর জন্য তাঁর অফিস প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ডিজিএইচএস কর্মকর্তারা এর আগে বলেছেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সহ উৎপাদক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সরবরাহ করা ভ্যাকসিন মজুদে দেশব্যাপী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আলম বলেন, “জনগণকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে, অর্থাৎ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সমস্ত ব্যয় সরকার বহন করবে।”
গত ৫ নভেম্বর ত্রিপক্ষীয় সমজোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এবং পরে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড (বিপিএল) এবং ভারতের সেরাম ইনুস্টটিউটের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রাথমিক ভ্যাকসিন সরবরাহ পাবে।
এই চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাবে।
মেডিকেলের চিকিৎসক ও চিকিৎসায় পেশায় জড়িতরা, আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, মিডিয়া কর্মী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা ও কর্মচারি, বয়স্ক ব্যক্তিরা, কোভিড ১৯ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার গ্রুপে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ডিজিএইচএস’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর নাসিমা সুলতানা বলেন,প্রত্যেকে দুইটি ডোজ নেবেন, প্রথম ডোজ নেয়ার ৮ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
তিনি বলেন, ডিজিএইচএস প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লাখ লোককে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসবে।
যথাযথভাবে ভ্যাকসিন বিতরণে সরকার ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সমম্বয়ে টিম তৈরি করেছে, বর্তমানে সারাদেশে ৭ হাজার ৩৪৪ টি টিম গঠন করা হয়েছে। নাসিমা বলেন, ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে তালিকাভুক্ত লোকদের মাঝে গোটা ভ্যাকসিন বিতরণ প্রক্রিয়া কঠোরভাবে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং ডিজিএইচএস নিয়মিত ভ্যাকসিন বিতরণ বুলেটিন প্রচার ও জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে।
ইপিআই পরিচালক ডা. মো: শামসুল হক বলেন, তার অফিসের সুবিধায় ১৪ থেকে ১৫ কোটি এবং জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে ৪ লাখ ২৫ হাজার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ডোজ সংরক্ষণ করা যাবে।
পাশাপাশি প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ৫ থেকে ১০টি আইস ফ্রিজার আছে। এর কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ সক্ষমতা প্রায় ৭১ হাজার ডোজ।
তিনি বলেন, ইপিআই কর্মসূচির অধীনে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ সুবিধা রয়েছে এবং আমাদের স্টোর ভ্যাকসিন মজুদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
হক বলেন, বাংলাদেশ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ সুবিধায় ৪ থেকে ৫ লাখ ডোজ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারে।
তিনি বলেন, “আমাদের ইপিআই প্রোগ্রাম কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।”
বাসস/এসপিএল/এমএমআর/অনু এমএবি/২৩২৮/এবিএইচ