বোরো আবাদে শ্রমিক সংকট না থাকায় স্বস্তিতে যশোরের কৃষকরা

408

যশোর, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে চলছে ইরি-বোরো ধান রোপণের মৌসুম। সকাল থেকে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠে মাঠে। এলাকায় ইরি-বোরো ধান রোপণের কাজ কোমর বেঁধেই করছেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক সংকট না থাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন কৃষক ও গৃহস্থরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলাব্যাপী হাইব্রিডসহ প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ধান রোপণের জন্য হাইব্রিডসহ ১ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য উপজেলার চেয়ে শীত ও কুয়াশায় বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আশেপাশের অঞ্চলে বোরো ধানের চারা সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানা গেছে। চলতি মাসের মধ্যেই রাজগঞ্জ এলাকায় ধান রোপণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের আতাউর রহমান, ঝাঁপা গ্রামের শফিকুল ইসলাম, খালিয়া গ্রামের মোসাররফ হোসেন, কাঠালতলা গ্রামের নাজিমুদ্দিন, চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের ইসহাক আলী বলেন, আমাদের জমিতে আগেভাগেই আমরা ইরি-বোরো ধান রোপণ করেছি। মাঠে আরো অনেকের জমিতে এখনো ধান রোপণ কার্যক্রম চলছে। কোনো সমস্যা ছাড়াই এ বছর ইরি-বোরো আবাদ শুরু করেছি। শেষও হবে ভালোই ভালোই আশা করি।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক বলেন, ধানই এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। তাই আমরা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কৃষকদের জমি প্রস্তুতি থেকে শুরু করে আগাম পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ইরি-বোরো ধান চাষ হবে। এছাড়াও আমরা কৃষকদের অধিক ফলনশীল ধান চাষের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করে আসছি। তাই এবার কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে অধিক ফলনশীল জাতের বোরো ধান করছেন। আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসের মধ্যেই রাজগঞ্জ অঞ্চলের সব মাঠেই ধান রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।