কুমিল্লার দাউদকান্দিতে খিরার বাম্পার ফলন

784

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১২ জানুয়ারি, ২০২১, (বাসস) : জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় খিরা চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় এবার খিরা চাষিদের মুখে হাসি ফোটেছে। খিরা চাষ করে বাম্পার ফলন ও আশাতীত ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিমণ খিরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে আটশ’ থেকে এক হাজার টাকায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে তিন গুণ বেশি। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছরই খিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন নতুন কৃষক।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে খিরা চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন খিরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। পরিবারে ছোট থেকে বড় সবাই অবিরাম খিরার জমিতে কেউ পরিচর্যায় ব্যস্ত, কেউবা খিরা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দাউদকান্দি উপজেলার গঙ্গাপ্রসেদ, বাহেরচর, হাসনাবাদ, গোলাপিরচর, চাঙ্গকান্দি, চরবাউইসা মাঠের পর মাঠ খিরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ খিরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খিরা উঠতে শুরু করেছে। দামও বেশ ভালো। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চাষীদের নিয়ে আসা খিরা ক্রয় করে ব্যাপারীরা ট্রাকযোগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। আগাম শীতকালীন ফসল হিসেবে খিরা চাষাবাদ করে কয়েক হাজার কৃষক এখন সচ্ছল স্বাবলম্বী।
সরেজমিন উপজেলার বাহেরচর, হাসনাবাদ খিরার মাঠে গিয়ে কথা হয় খিরা চাষী জাবেদ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষাবাদের প্রতি তার ঝোঁক। একবিঘা জমিতে খিরার চাষ করতে তার ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরও ৮ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র বর্গাচাষিরা প্রতিবিঘা জমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করায় তাদের খরচ আরও বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ দিনে তিনি প্রায় ৫৫ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে তোলা যাবে আরও প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার খিরা। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত জানান, খিরা চাষে দ্বিগুন লাভ। আমরা কৃষি অফিস থেকে খিরা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কারণে এ এলাকায় দিন দিন খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।