সারাদেশে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন

439

ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করা হয়েছে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এদিনে জন্মগ্রহন করেন।
বাসস-এর পাবনা সংবাদদাতা জানান, ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে শুক্রবার জেলায় ৩০টি গ্রামের ২১টি উপাসনালয়ে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে জেলার সকল গির্জায় স্বল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খ্রিস্টযোগ, আলোকসজ্জা করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে ক্রিসমার্স ট্রি সাজানো, গোশালা তৈরী, কেক কাটা, নগরকীর্তন, পিঠাপর্ব, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। শুভ বড়দিনের দিন উপলক্ষে পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে সকাল নয়টায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনা পরিচালনা করেন পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক মি. ইসাহাক সরকার। প্রার্থনায় দেশের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
প্রার্থণা শেষে বড়দিনের কেক কাটা হয়। কেককাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ প্রমুখ।
বাসস-এর ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, শুভ বড়দিন উপলক্ষে জেলা শহরের ব্যাপিস্ট চার্চে রেভারেন্ট জেমস টোকন দাস দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন। ফুল আর বেলুন নিয়ে সাজানো হয় গির্জাগুলো। পরে কেক কেটে সবাই আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি খাবার বিনিময় করেন। এ বছর জেলার ৬ উপজেলার ৩৮ টি গির্জায় স্বল্প পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে এ উৎসব।
বাসস-এর বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা উৎসবে মেতে উঠেছেন। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২ টা ১মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শুরু হয়। সকাল থেকে জেলা সদরের ব্যাপটিস্ট গির্জা ও ফাতেমা রানী ক্যাথলিক গির্জাসহ জেলা উপজেলার গির্জাগুলোতে সমবেত প্রার্থনা ও সংগীতের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবানের চার্চগুলো ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারগুলোতে নানা ধরনের কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
বাসস-এর জয়পুরহাট সংবাদদাতা জানান, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জেলায় শুভ বড়দিন পালন করা হচ্ছে।দিবসটি উপলক্ষে জেলা শহরের খনজনপুরে খ্রীষ্টিয় উপাসনালয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুরু করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। এ ছাড়াও শুভ বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে প্রীতি ভোজ, পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কীর্তণ, রাত্রিকালীন বিশেষ প্রার্থনা, নববর্ষের উপাসনা, খেলাধুলা ও বনভোজন।
বাসস-এর সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, উৎসব মুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জেলায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় এবং কেক কাটা হয়। বিলানো হয় নানা উপহার। শুক্রবার সকাল থেকেই তালার ট্যাবেনাকেল অফ গ্রেস্ চার্চ বাংলাদেশ গির্জাসহ জেলার বিভিন্ন গির্জা ও বাড়িঘর আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা সহ সাজানো হয়। তৈরি করা হয় কেক ও বিশেষ খাবার এবং আয়োজন করা হয় বড়দিনের গান ও কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের। সকালে বিভিন্ন গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার।
বাসস-এর কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, শুভ বড়দিন উপলক্ষে জেলা সদরের ক্যাথলিক চার্চ এবং ব্যাস্টিস্ট চার্চের উদ্যোগে পৃথকভাবে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল সমবেত প্রার্থনা, কেককাটা, শুভেচ্ছা বিনিময়, উপহার প্রদান, প্রীতিভোজ, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।