চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, ১৪৭ নতুন শনাক্ত

545

চট্টগ্রাম, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে টানা তিনদিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর শনিবার করোনাক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় নতুন ১৪৭ জনের দেহে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হলেও সংখ্যা ও হারে করোনার সংক্রমণ গত কয়েকদিনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম। ৪ ডিসেম্বর ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ৩ ডিসেম্বর ২৪০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। ২ ডিসেম্বর ২৩১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়েও কারো মৃত্যু হয়নি। ১ ডিসেম্বর নতুন ২৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত এক জনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, শনিবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর চারটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১২৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১৪৭ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩৩ জন এবং আট উপজেলার ১৪ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৬ হাজার ৪১০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ হাজার ৫৬ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৩৫৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং চন্দনাইশ, পটিয়া, রাউজান, সীতাকু- ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে রয়েছেন।
এদিন করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩২২ জন। এর মধ্যে শহরের ২২৭ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ৩৩৫ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ হাজার ৫৫৩ জনে। এদের ৩ হাজার ৫৭৭ জন হাসপাতালে ও ২০ হাজার ৯৭৬ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এদিন কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৫ জন, ছাড়পত্র নেন ৭৬ জন। বর্তমানে ১ হাজার ২৬৪ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৪ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২ জনের নমুনার মধ্যে ৫ জন করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামের মাত্র একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় এটির ফলাফল নেগেটিভ আসে।
তবে নগরীর অপর চার ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, চমেকে ১৯ দশমিক শূন্য ৪, আরটিআরএলে ৭০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে শূন্য শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।