নৃ-গোষ্ঠিকে পেছনে ফেলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : ড. কাজী খলীকুজ্জমান

698

রংপুর, ৮ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেছেন, কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিকে পেছনে ফেলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে প্রশিক্ষণ, শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে তুলতে পারলে তারাও দেশের উন্নয়নের অবদান রাখতে পারবেন। এজন্য তিনি কার্যকরী কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আজ রোববার বিকেলে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেলডাঙ্গা গ্রামে ‘গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র’ কর্তৃক আয়োজিত দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সমাবেশে শিক্ষাবৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা অর্জনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের জন্য বিরাজমান বৈষম্য ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। তিনি নৃ-গোষ্ঠির লেখাপড়া ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১০০ জন শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক একিউএম গোলাম মাওলা এবং বিশিষ্ঠ শিক্ষাবীদ ড. জাহেদা আহমদ।
এর আগে দুপুরে ড. কাজী খলীকুজ্জমান বিরামপুরের জোতবাণী ইউনিয়নের মহিপুরে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের ’লিফ্ট কর্মসূচি’র আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিদর্শন ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি সকালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া এলাকায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের কৃষি কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সেখানে কুচিয়ার ব্রীডিং খামার উদ্বোধন ও উন্নত পদ্ধতিতে সবজির চারা উৎপাদন, জৈব সার ব্যবহার ও কৃষি যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও তিনি বিরামপুরের দূর্গাপুরে দলিত নৃ-গোষ্ঠির জীবন-যাপন পরিদর্শন করেন এবং সেখানে স্থানীয়দের মাথে মত বিনিময় করেন। তিনি দুর্গাপুরে একটি ডিপ টিউবয়েল স্থাপন ও ৩৭টি ঘর নির্মাণের জন্য সহায়তা প্রদানের ঘোষনা দেন।
দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের সময় আদিবাসি, দলিত ও নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরা তাদের ঐতিহ্যবাহী গান, নৃত্যের তালে তালে ড. কাজী খলীকুজ্জমানসহ অতিথিবৃন্দকে বরণ করেন।