আগামী নির্বাচনে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন : সিইসি

696

ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না, এটা বলিনি। আগের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছিল, এবারও হওয়া উচিত। তবে নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন : সদস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে ইডব্লিউজি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খান এম.পি এবং বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ইডব্লিউজি’র পরিচালক ড. মো. আব্দুল আলীম সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোমেন চৌধুরী ও নাসিম ফেরদৌস আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সিইসি বলেন, ‘প্রবাসী, কারাগারে অন্তরীন কয়েদী, সরকারী কাজে দূরে অবস্থানকারী এবং নিবাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত ১০ থেকে ১২ লাখ নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত থাকেন। এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে ইসি কাজ করছে।’
প্রতিবন্ধি ও বয়স্করা তাদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যে কাউকে দিয়ে প্রক্সিভোট দিতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে এবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং সিভিল সোসাইটির এক সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আশস্ত করেছে। এ ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টির কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি হবে না সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। কিভাবে মোতায়েন হবে সেটাও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, এটা নিয়ে কেউ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না।’
প্রবাসীদের পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার দেয়ার দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে। আমাদের দেশেও নির্বাচনে এদের কাজে লাগানো যেতে পারে।’