সিলেট, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সিলেটে সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অবৈধভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব প্রতিষ্ঠানকে ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে সিলেট নগরীর ১৫টি প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেট-এর পরিচালক সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়, ‘টাস্কফোর্র্সের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে গত ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, আপনার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স/লাইসেন্স নবায়নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি। সুতরাং, সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কীভাবে এখন পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আপনার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন, এর উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যাসহ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স/লাইসেন্স নবায়নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এ দপ্তরকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হলো।’ অন্যথায় আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নোটিশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে, নগরীর কাজি ইলিয়াস এলাকার রয়েল হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার, দরগাগেইট এলাকার মহানগর হাসপাতাল ও লাইফ কেয়ার পলিক্লিনিক, লামাবাজারের আয়েশা মেডিকেয়ার, পাঠানটুলার বিএভিএস হাসপাতাল, দক্ষিণ কাজলশাহ’র গ্রামীণ হাসপাতাল, ওসমানী মেডিকেল রোডের মেডিচেক প্যাথলজি সেন্টার ও সিলেট সিটি ডেন্টাল এক্সরে, স্টেডিয়াম মার্কেটের পারফেক্ট ডিজিটাল ল্যাব, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিল্যাব সার্ভিসেস আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রিকাবীবাজারের সিলেট ডিজিটাল ডেন্টাল এক্সরে, মেরী স্টোপস ক্লিনিক এবং মধুশহীদ এলাকার গ্রীণ লাইফ ব্লাড ব্যাংক। সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট-এর সহকারী পরিচালক ডা: আনিসুর রহমান জানান, সিলেটের অলি-গলিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করতে এরই মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং প্রাইভেট মেডিকেল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের বৈঠক হয়েছে। তিনি জানান আপাতত তিনটি ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করতে বিভাগের চার জেলার সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে (নবায়নের জন্য আবেদিত), লাইসেন্স আছে (নবায়ন নেই বা আবেদিত নেই) এবং যেসব প্রতিষ্ঠানের আদৌ কোন লাইসেন্স নেই। এসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা।